দলের রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ থাকলেও তাঁরা যে উদয়ন গুহ-র পথে হাঁটতে নারাজ সে কথা আগেই জানান জলপাইগুড়ি জেলা ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্ব। রবিবার সরাসরি দিনহাটার বিধায়কের সমালোচনায় সরব হলেন তাঁরা। এদিন শহরের সুভাষ ফাউন্ডেশনে দলের জেলা কমিটির সভায় উদয়নবাবুর তৃণমূলে যোগদানের ঘটনার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব নেওয়া হয়। জেলা নেতৃত্বের অভিযোগ, চরম নীতিহীনতা থেকে উদয়নবাবু তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি শনিবার সাংবাদিকদের উপরে তৃণমূলের হামলা এবং বামফ্রন্টের লালবাজার অভিযানে পুলিশের লাঠি চালনার ঘটনার তিব্র নিন্দা করা হয়। আজ, সোমবার বামফ্রন্টের ডাকে জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের দফতর অভিযানে দুটি ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাবে ফরওয়ার্ড ব্লক।
দলের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সহ সভাপতি গোবিন্দ রায় বলেন, “উদয়নবাবু ব্যাক্তিগত স্বার্থে যে ভাবে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন সেটা চরম নীতিহীনতার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। জেলার কোনও কর্মী তাঁর সঙ্গে নেই।” এর আগে গত রবিবার দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা জরুরি সভা করে উদয়নবাবুর তোলা দাবি ও অভিযোগ নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেন। সেগুলি সমর্থন করা হলেও তাঁরা জানিয়ে দেন কেউ দল ছাড়বেন না। দলে থেকে রাজ্য নেতৃত্বের ‘সিদ্ধান্তহীনতার’ বিরুদ্ধে লড়াই করবেন। ওই দিন কিছুটা রাখঢাক করে দিনহাটার বিধায়কের সমালোচনা করা হলেও তিনি তৃণমূলে যোগদানের পরে এদিন জেলা ফরওয়ার্ড ব্লক নেতারা রেয়াদ করেননি। দলের জেলা সম্পাদক আবদুস সাত্তার বলেন, “উদয়নবাবু যে কাজ করলেন সেটা দলের কেউ মেনে নিতে পারছে না। নীতির কথা বলে তিনি চরম নীতিহীনতার পরিচয় দিয়েছেন।”
এদিনের সভায় শনিবার সাংবাদিকদের উপরে তৃণমূলের হামলার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব নেওয়া হয়। দলের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সহ সভাপতি জানান, দলের তরফে অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বামফ্রন্টের লালবাজার অভিযানে পুলিশের বেপরোয়া লাঠি চার্জের ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি তুলেছে ফরওয়ার্ড ব্লকের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটি। দলের জেলা সম্পাদক বলেন, “সোমবার বামফ্রন্টের ডাকে জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের দফতর অভিযানে ওই দুটি দাবি তুলে ধরা হবে।”