ক্ষমতার যুদ্ধে স্তব্ধ পরিষেবা

প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান তথা কাউন্সিলর অমল সরকার বলেন, ‘‘আমাকে পদ থেকে ক্ষমতাবলে সরিয়ে দিয়েছেন পুরপ্রধান। কাজেই যেসব কাজ আগে আমি করতাম, সেসব আর করতে পারছি না।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গঙ্গারামপুর শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৯ ০৪:৩৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

গঙ্গারামপুর পুরসভার ‘গৃহযুদ্ধে’ পরিষেবা থেকে শহরবাসী বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কোন গোষ্ঠী পুরসভার ক্ষমতায় বসবে, এ নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলছে তীব্র টানাপড়েন। আর এর মাঝে পড়ে শহরে নাগরিক পরিষেবা কার্যত লাটে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিদিন বিভিন্ন প্রয়োজনে পুরসভায় এসে কাউন্সিলর থেকে পুরপ্রধানকে না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। বর্ষার মরসুম শুরু হওয়ায় বিভিন্ন ওয়ার্ডের বৃষ্টির জলের সমস্যারও সমাধান হচ্ছে না এই লড়াইয়ের জেরে।

Advertisement

বিষয়টি নিয়ে প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান তথা কাউন্সিলর অমল সরকার বলেন, ‘‘আমাকে পদ থেকে ক্ষমতাবলে সরিয়ে দিয়েছেন পুরপ্রধান। কাজেই যেসব কাজ আগে আমি করতাম, সেসব আর করতে পারছি না। এতে পুরসভায় সমস্যা একটু হচ্ছেই। তবে আর মাত্র কয়েকটা দিন, তার পরেই সমস্যা মিটে যাবে।’’ তাঁর ইঙ্গিত, কয়েক দিনের মধ্যেই অনাস্থার জেরে পুরপ্রধানকে ইস্তফার পথে যেতে হবে। তারপর নতুন বোর্ড গঠিত হলে পরিষেবা আগের মতোই শুরু হবে। এই পুরসভার পুরপ্রধান প্রশান্ত মিত্রের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার পর থেকেই এই সমস্যা শুরু হয়েছে। প্রশান্তের দাদা তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে তৃণমূল নেতৃত্ব প্রশান্তকে আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করে। যদিও প্রশান্ত এখনও নিজেকে তৃণমূলের নেতা বলেই প্রকাশ্যে জানাচ্ছেন। কিন্তু তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের পাশাপাশি তৃণমূল শিবির তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থাও এনেছে।

এখন পুরসভার ১৮ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১০ জন অনাস্থা আনার পরেই পুরসভার কর্তৃত্ব নিয়ে দুই শিবিরের দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে। এবং এর জেরে পুরসভার কাজও শিকেয় উঠেছে। অনাস্থার পরেই পুরসভায় আসছেন না কোনও কাউন্সিলর। নেই ভাইস চেয়াম্যানও। বর্ষার শুরু হওয়ায় শহরের নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল দশা। বিভিন্ন ওয়ার্ডে জল জমে যাচ্ছে। নর্দমা সাফাই থেকে পানীয় জলের সমস্যাও তীব্র আকার নিচ্ছে। গঙ্গারামপুরের সিপিএমের আঞ্চলিক সম্পাদক অচিন্ত্য চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পুরসভার এই ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ের কারণে পুর পরিষেবা পাচ্ছেন না বাসিন্দারা। দরিদ্র মানুষেরা বিভিন্ন সাহায্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রতিদিন প্রচুর মানুষ ঘুরে যাচ্ছেন। অবিলম্বে এই সমস্যা মেটানো হোক।’’ এনিয়ে প্রশান্তকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন