ছাত্রীদের উত্যক্ত করায় শো-কজ

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছে মালদহের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত আনসারুল হক তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সেলের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কনভেনার পদে রয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৫ ০২:৫৪
Share:

আনসারুল হক। —নিজস্ব চিত্র।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছে মালদহের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত আনসারুল হক তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সেলের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কনভেনার পদে রয়েছেন।

Advertisement

শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রীরা উপাচার্যের কাছে গ্রন্থাগারের ওই কর্মী আনসারুল হকের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উপাচার্য গোপাল মিশ্র গ্রন্থাগারের অভিযুক্ত ওই কর্মীকে শো-কজ করেছেন। আনসারুল তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিক্ষাবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীরা পড়াশোনার জন্য মাসখানেক ধরে গ্রন্থাগারের একটি কক্ষ ব্যবহার করতেন। ছাত্রীদের অভিযোগ, ওই কক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী আনসারুল ছাত্রীদের ফোন নম্বর নিয়ে রাখতেন এবং ছাত্রীদের দিকে আপত্তিজনক ভাবে তাকাতেন। ছাত্রীদের সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বিভাগের ছাত্রীদের বক্তব্য, ‘‘ছেলেদের কাছ থেকে ওই কর্মী কখনও ফোন নম্বর নিতেন না।’’

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য গোপালবাবুও বলেন, ‘‘গ্রন্থাগারের ওই ঘরটি ব্যবহার করার জন্য ফোন নম্বর নেওয়ার কোনও নিয়ম নেই। ছাত্রীরা আমার কাছে ওই কর্মীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে শো-কজ করা হয়েছে। তিনি কেন ফোন নম্বর নিতেন, তার জবাব চাওয়া হয়েছে। ঘটনাটি আমরা তদন্ত করে দেখছি। শো-কজের জবাব না পেলে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।’’

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে,২০১০ সালের ২৭ শে জানুয়ারী গ্রন্থাগারের ওই পদে নিয়োগ হন আনসারুল। তাঁর বাড়ি কালিয়াচক ২ ব্লকের বাঙিটোলা এলাকায়। এখন তিনি ইংরেজবাজার শহরের মিরচকে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন। ছাত্রীদের দিকে ‘আপত্তিজনক’ ভাবে তাকানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আনসারুল। তিনি বলেন, ‘‘আমি সবার ফোন নম্বর নিয়ে রাখতাম ঠিকই। তবে যারা ওই কক্ষটি ব্যবহার করছে তাদেরই ফোন নম্বর নিতাম। আমার অসৎ কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। ছাত্রীদের দিকে কুদৃষ্টিতে তাকানোর অভিযোগ ঠিক নয়। আমার কাছে উপাচার্য জবাব চেয়েছেন। আমি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জবাব দেব।’’ এ বিষয়ে তৃণমূলের ভারপ্রাপ্ত জেলা সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ে এ দিন ঠিক কি হয়েছে তা আমার জানা নেই। ঘটনাটি খোঁজ নিয়ে দেখব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন