Kalimpong

কালিম্পং পুরসভায় গুলি, আহত ২

পুলিশ এবং দলীয় সূত্রে খবর, এদিন কালিম্পংয়ের মেল্লিতে মোর্চারই কিছু নেতা বনবস্তির বাসিন্দাদের নিয়ে পুনর্বাসনের বৈঠক করছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২০ ০৮:৫৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিনয়পন্থী মোর্চার গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে দলেরই দুই সমর্থকের উপর গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল কালিম্পং পুরসভার কাউন্সিলর কুণাল প্রধানের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বিকেলে কালিম্পংয়ের মেল্লিতে প্রস্তাবিত সিকিং-রংপো রেলপথ প্রকল্পে বনবস্তির বাসিন্দাদের পুনর্বাসন নিয়ে বৈঠক চলাকালীন ওই ঘটনা ঘটে, জানিয়েছে জেলা পুলিশ। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ দু’জনের মধ্যে একজনকে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে আনা হয়েছে। নার্সিংহোম সূত্রে খবর, তাঁর পাকস্থলীতে গুলি লেগেছে। বুধবার তাঁর অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা। অন্য জনের হাতে গুলি লেগেছে। তিনি রয়েছেন কালিম্পং হাসপাতালে। ঘটনার পরই বিক্ষোভের জেরে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। রাত পর্যন্ত চলে এলাকায় বিক্ষোভ। এ দিন কুণালের তিন সাগরেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ দিনই একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি করে দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তার অভিযোগ করেন, টাকা তোলাকে কেন্দ্র করে এই ঝামেলা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ এবং দলীয় সূত্রে খবর, এদিন কালিম্পংয়ের মেল্লিতে মোর্চারই কিছু নেতা বনবস্তির বাসিন্দাদের নিয়ে পুনর্বাসনের বৈঠক করছিলেন। সেখানে নিজের কয়েক জন সাগরেদ নিয়ে হাজির হন কুণাল। দলের অন্য নেতা দুরাং মঙ্গর এবং পেম্বা তামাংয়ের সঙ্গে বাদানুবাদ শুরু হয় তার। তারপর হঠাৎই বন্দুক বের করে তাদের দিকে লক্ষ করে কুণাল গুলি ছোঁড়েন বলে অভিযোগ। মুহূর্তের মধ্যেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তার পর এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। জেলা পুলিশ সুপার হরিকৃষ্ণ পাই বলেন, ‘‘ঘটনায় আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে। একটি বন্দুকও উদ্ধার হয়েছে।’’ কেন গুলি চালানো হল, তা এখনও পরিষ্কার নয় পুলিশের কাছে।

কালিম্পং পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কুণাল প্রধানের বিরুদ্ধে এর আগেও ভয় দেখানো, মারপিটের অভিযোগ উঠেছিল। এক বার কালিম্পং পুরসভার চেয়ারম্যান রবি প্রধানের উপরে হামলার অভিযোগ উঠেছিল কুণালের বিরুদ্ধে। ২৯ জানুয়ারি কালিম্পংয়ের তিস্তাবাজারে মারপিট করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁকে তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করেন বিনয়। দলের একাংশের দাবি, তার পরেও তাঁর কার্যকলাপ বন্ধ হয়নি।

Advertisement

মোর্চা সূত্রে জানা গিয়েছে, এ তাই কুণালকে পাকাপাকিভাবে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিনয় নিজেই সে কথা জানিয়ে বলেন, ‘‘বিমল গুরুংয়ের ইন্ধনে এ সব করেছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। ওকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে।’’ বিমল জমানায় বিমলেরই দাক্ষিণ্যে কাউন্সিলর হয়েছিলেন কুণাল। কিন্তু ২০১৮ সালে মোর্চা ভাঙার পরে সবার আগে বিনয় গোষ্ঠীতে ভেড়েন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন