Bimal Gurung

Bimal Gurung: এ বার বিমলের মুখে পঞ্চায়েত ভোটের দাবি

১৯৮০ দশকে পাহাড়ের আন্দোলনের সময় ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে গোর্খা পার্বত্য পরিষদের জন্ম হয়। সুবাস ঘিসিং চেয়ারম্যান হন।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২২ ০৭:৪৪
Share:

বিমল গুরুং। ছবি: সংগৃহীত।

দার্জিলিঙে জিটিএ ভোটের বিরোধিতা, তরাই ও ডুয়ার্সের ৩৯৬টি মৌজা পাহাড়ের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবির পর এ বার পঞ্চায়েত ভোটের দাবি তুললেন জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং। সেই সঙ্গে নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছতে পাহাড়ের সব দলকে একজোট হয়ে কাজ করার অনুরোধ করলেন গুরুং। জিটিএ ভোটের বিরোধিতা করে যুব মোর্চার সদস্যেরা সিংমারি দলীয় দফতরে অনশন শুরু করেছেন। সেখানে রোজই আসছেন গুরুং। দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠকও করছেন।

Advertisement

গুরুং বলেছেন, ‘‘আমরা জিটিএ ভোট চাইছি না। সেখানে রাজ্য সরকারের কাছে কী চেয়েছি তা প্রস্তাব আকারে মুখ্যমন্ত্রীর কাছ জমা করে দিয়েছি। আমাদের দাবির কথাও বলছি। জিটিএ কেন, উন্নয়নের জন্য পঞ্চায়েত ভোট প্রয়োজন পাহাড়ে।’’

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, কিছুদিন আগেই পাহাড়ে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক বৈঠকও করেন। সেখানে কালিম্পঙের বিধায়ক রুদেন সাহা লেপচা কালিম্পং জেলার জন্য আলাদা প্রশাসনিক ব্যবস্থা ছাড়াও পাহাড়ের পঞ্চায়েত ভোটের কথাও বলেন। যা শুনে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় ভোট পাহাড়ে এখন সম্ভব নয়। কেন্দ্রকে আইন সংশোধন করতে হবে। রাজ্য কেন্দ্রকে এটা নিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছে। তা না হওয়া অবধি পঞ্চায়েত ভোট করায় সমস্যা রয়েছে। এ নিয়ে বিমলে দাবি, ‘‘ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট না করে দ্বিস্তরীয় ভোট হোক। তা তো রাজ্য করতেই পারে।’’

Advertisement

১৯৮০ দশকে পাহাড়ের আন্দোলনের সময় ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে গোর্খা পার্বত্য পরিষদের জন্ম হয়। সুবাস ঘিসিং চেয়ারম্যান হন। দার্জিলিং জেলা পরিষদ ভেঙে দেওয়া হয়। শিলিগুড়ির জন্য সমতলে মহকুমা পরিষদ গঠন হয়। পার্বত্য পরিষদের পর জিটিএ পাহাড়ে তৈরি হয়ে গিয়েছে। সরকারি অফিসারেরা জানান, জেলা পরিষদকে ফের ফিরিয়ে আনার জন্য দিল্লিতে আইন সংশোধন প্রয়োজন। তা না হলে ত্রিস্তরীয় ভোট হবে না। সেখানে পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে ভোটের দাবি তুলছেন গুরুং। মোর্চার অভিযোগ, বহু বছর হতে চলল পাহাড়ে পঞ্চায়েতগুলি কার্যত জনপ্রতিনিধি ছাড়াই চলছে। এতে সরকারি প্রকল্পের কাজ হলেও গ্রামীণ এলাকায় সঠিক পরিষেবা পৌঁছচ্ছে না। জিটিএ-কে পুরোপুরি সচল করা হয়নি। তাতেও সমস্যা বেড়েছে।

মোর্চা-বিরোধীদের দাবি, রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গে সমঝোতা করেই সাড়ে তিন বছর পর পাহাড়ে ফিরেছেন গুরুং। মামলা প্রত্যাহার সহ বেশ কিছু আশ্বাসের কথা তাঁরা শুনিয়েছিলেন। তা পুরো এখনও হয়নি। এতে গুরুংদের ক্ষোভ রয়েছে। তেমনিই, অনীত থাপা, অজয় এডওয়ার্ডদের জন্য গুরুংয়ের দলের রোজ ক্ষতি হচ্ছে। দলীয় সংগঠন আগের মতো নেই। তাই মরিয়া হলেই রোজই কিছু না কিছু দাবি তুলে গুরুং দলকে চাঙ্গা এবং প্রাসঙ্গিক করতে চাইছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন