কথা হলেও বন্‌ধ উঠবে না: মোর্চা

বৃহস্পতিবার দার্জিলিঙে মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ত্রিলোকচাঁদ রোকা বলেন, ‘‘আলোচনা যদি শুরুও হয়, তবু এখন বন্‌ধ তোলা হবে না। তবে পাহাড়ে যাতে নিত্যপ্রয়োজনী খাদ্য ও পণ্য পৌঁছতে বাধা না দেওয়া হয়, সে দিকে সরকারকে নজর রাখতে হবে।’’

Advertisement

প্রতিভা গিরি

শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৭ ০১:৫৯
Share:

শ্রদ্ধা: সুকনায় জিএনএলএফের শহিদ স্মরণ।ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

সমস্যা মেটাতে আলোচনার ক্ষেত্র ক্রমশ তৈরি হচ্ছে বলে মানছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। তবে আলোচনা শুরু হলেও এখনই পাহাড় থেকে বন্‌ধ তোলা হবে না বলে একক ভাবে জানিয়ে দিল মোর্চা। উপরন্তু, রাজ্যের উপরে চাপ বাড়াতে মোর্চার সমর্থকেরা মুষ্টিভিক্ষা করে চাল জমিয়ে তা ডিএম, এসডিও, বিডিও-র দফতরে জমা দিয়ে নবান্নে পাঠানোর আর্জি জানাবে বলেও এ দিন ঘোষণা করা হয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার দার্জিলিঙে মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ত্রিলোকচাঁদ রোকা বলেন, ‘‘আলোচনা যদি শুরুও হয়, তবু এখন বন্‌ধ তোলা হবে না। তবে পাহাড়ে যাতে নিত্যপ্রয়োজনী খাদ্য ও পণ্য পৌঁছতে বাধা না দেওয়া হয়, সে দিকে সরকারকে নজর রাখতে হবে।’’ তাঁর অভিযোগ, আনাজের গাড়ি পাহাড়ে যেতে বাধা দেওয়া হলেও রাজ্য সরকার কিছু করছে না। তাই প্রতিবাদ হিসেবে পাহাড়ে মুষ্টিভিক্ষার মাধ্যমে চাল সংগ্রহ করে তা বস্তায় ভরে সরকারের কাছে পাঠানো হবে বলে রোকা জানিয়েছেন।

খাদ্য দফতরের এক কর্তা জানান, পাহাড়ে রাজ্য খাদ্য-আনাজ পাঠাতে চাইলেও তা জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই পাহাড়ে যাতায়াতকারী খাদ্য ও পণ্যের গাড়িতে হামলা বন্ধ করা নিয়ে আন্দোলনকারীদের নিশ্চয়তা দিতে হবে। না হলে কোনও চালকই যেতে চাইছেন না। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবও দাবি করেন, ‘‘দ্রুত বন্‌ধ তুলে আমজনতার কাছে রেশন ও খাবার পৌঁছনোর রাস্তা মসৃণ করতে হবে। সেটা আন্দোলনকারীরা যত তাড়াতাড়ি করবেন, ততই ভাল।’’

Advertisement

সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিংয়ের ভূমিকারও সমালোচনা করেন গৌতমবাবু। গোর্খাল্যান্ডের পক্ষে মত দিয়ে সিকিম বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করেছেন চামলিংরা। আবার সে কথা কেন্দ্রকে চিঠি লিখে জানিয়েওছেন। এ বার দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকেও পাহাড় প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। পর্যটনমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘উনি যা করছেন তা সংবিধান বহির্ভূত। প্রতিবেশী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এ ভাবে এখানকার বিষয়ে প্রকাশ্যে মতামত দেওয়াটা দুর্ভাগ্যজনক।’’

এ দিন পাহাড়ে বিভিন্ন দল ‘শহিদ দিবস’ পালন করে। চকবাজারে একটি অনুষ্ঠান করে জিএনএলএফ। আবার মোর্চার পক্ষ থেকে তা অন্যত্র পালন করা হয়। কিন্তু, গোর্খা রঙ্গমঞ্চে শহিদ বেদী থাকলেও সেখানে অনুষ্ঠান করা যায়নি বলে আক্ষেপ করেন মোর্চা নেতা রোকা। যেখানে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে একযোগে দলগুলি আন্দোলন করছে, সেখানে শহিদ দিবস কেন আলাদা ভাবে করা হল? জিএনএলএফের মুখপাত্র নীরজ জিম্বা বলেন, ‘‘একসঙ্গে করার কথা ভেবেছিলাম। আগামীতে একসঙ্গে করার চেষ্টা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement