সম্পর্ক ভাল করতে নয়া সরকারকে বার্তা মোর্চার

রাজ্য সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির উপর ফের জোর দিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। ভোটের ফল বার হওয়ার পর থেকেই মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ রাজ্যের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির কথা বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা বার্তা দেওয়া ছাড়াও মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানেও গুরুঙ্গ উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দার্জিলিং শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৬ ০২:১৭
Share:

রাজ্য সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির উপর ফের জোর দিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। ভোটের ফল বার হওয়ার পর থেকেই মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ রাজ্যের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির কথা বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা বার্তা দেওয়া ছাড়াও মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানেও গুরুঙ্গ উপস্থিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার দলের সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের একটি বক্তব্যকে যেমন স্বাগত জানিয়েছেন, তেমনিই পাহাড়ের পযর্টন উন্নয়নের জন্য তাঁরা রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবে’র সাহায্য চাইবেন বলেও জানিয়েছন।

Advertisement

গত বুধবার শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকের নিয়ে বৈঠক করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী। সেখানে তিনি জানান, পাহাড়ের জিটিএ-র কাজে তাঁর দফতর নিজে থেকে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। জিটিএ কোনও প্রকল্প নিলে এলে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর অবশ্যই তা দেখে ব্যবস্থা নেবে। এ দিন রোশন গিরি বলেন, ‘‘আমরা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর বক্তব্যকে স্বাগত জানাচ্ছি। এটা খুব ভাল বিষয়। জিটিএ একটি স্বশাসিত সংস্থা। সেখানে অন্য কোনও দফতর বা সংস্থার নিজে থেকে এসে কাজ করাটা বাঞ্ছনীয় নয়। কাজ হলে আলোচনা করে হবে।’’ রোশন জানান, গৌতম দেব রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী হওয়ায় এই অঞ্চলের জন্য খুব ভাল হয়েছে। উনি পাহাড়কে ভাল করে চেনেন। আমরা পাহাড়ের পর্যটন প্রকল্পের জন্য ওঁর সঙ্গে কথা বলব। প্রকল্পের জন্য সাহায্য চাওয়া হবে। আর শুধু পর্যটন দফতর নয়, আমরা রাজ্যের সঙ্গেও একযোগে কাজ করতে চাই।

ভোটের আগে অবশ্য তৃণমূলকে নিয়ে বিষোদগারই করেছেন মোর্চা নেতারা। বিভিন্ন উন্নয়ন বোর্ড গড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড়ে বিভেদের রাজনীতি করেছেন বলে খোদ গুরুঙ্গ একাধিকবার অভিযোগ তুলেছেন। তেমনই, গৌতম দেব উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী থাকার সময়ে তাঁর দফতর পাহাড়ে তিনটি রাস্তার কাজে হাত দেয়। তা নিয়ে আদালতের পথেও যায় জিটিএ। মুখ্যমন্ত্রীর শেষ কয়েকবার পাহাড় সফরে গুরুঙ্গের সঙ্গে তাঁর দেখাও হয়নি। কিন্তু এবার ভোটের ফল বার হতেই দেখা যায়, তৃণমূল এবং তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থী মিলিয়ে তিনটি আসনে প্রচুর ভোট পেয়েছেন। পাহাড়ের জেতার ব্যবধান লক্ষাধিক ভোট থাকার রেকর্ড, এ বার দুটি আসনে ৩০-৪০ হাজার হয়েছে। কালিম্পঙে তো তা ১০ হাজারের মত। এর পরেই পাহাড়ে পুরসভার, জিটিএ এবং পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা। তা মাথায় রেখেই মোর্চার নেতারা রাজ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নতির চেষ্টায় নেমেছেন বলে রাজনৈতিক মহলের অনুমান। কলকাতার রেড রোডে তৃণমূলের নতুন সরকারের শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানেও শিলিগুড়ির তৃণমূল প্রার্থী ভাইচুং ভুটিয়ার সঙ্গে এক ফ্রেমে দেখা গিয়েছিল বিমল গুরুঙ্গ ও রোশন গিরিকে।

Advertisement

রোশন এ দিন জানান, নতুন কালিম্পং জেলার প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে প্রশাসনের তরফে প্রস্তাব চাওয়া হয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা বলেছি, কালিম্পং মহকুমা শুধু নয়, নতুন জেলায় মাল, মেটেলি, নাগরাকাটা, বাগরাকোট, সামসিংয়ের মতো এলাকাগুলিতেও প্রকল্পের পরিকল্পনা করা দরকার।’’ ওই এলাকাগুলি গোর্খা জনজাতি অধ্যুষিত এলাকা বলেই পরিচিত। নতুন জেলার অধীনে কালিম্পং, আলগাড়া, গরুবাথান আর মিরিককে মহকুমা স্তরে উন্নত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন