Rabindra Jayanti Celebration

কবির মতো ‘সেতু বন্ধনের’ ভাবনায় জোর অনীতের

মঙ্গলবার মংপুতে রবীন্দ্র ভবনে দার্জিলিং জেলা প্রশাসন, তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ ও জিটিএ-র উদ্যোগে রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী পালিত হয়।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২৩ ০৮:২৯
Share:

সেতুবন্ধন: মঙ্গলবার মংপুতে অনীত থাপা। নিজস্ব চিত্র।

রবীন্দ্রনাথ বাঙালি ও গোর্খা সম্প্রদায়ের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করেছিলেন, এমনই মত জিটিএ (‌গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন)-র চিফ এগজ়িকিউটিভ অনীত থাপার। মঙ্গলবার মংপুতে রবীন্দ্র ভবনে দার্জিলিং জেলা প্রশাসন, তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ ও জিটিএ-র উদ্যোগে রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী পালিত হয়। সেখানে রবীন্দ্রনাথের কথা বলে সে মেলবন্ধনের ধারাকে বজায় রেখে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথাও বলেন অনীত। রবীন্দ্র ভবন পাহাড়ের অন্যতম অমূল্য ‘হেরিটেজ’ বলেও উল্লেখ করেছেন জিটিএ-প্রধান৷ পাহাড়ের আলাদা রাজ্যের দাবি, বাংলা বিভাজনের বিতর্কের মধ্যে অনীতের এই বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই পাহাড়ের নেতারা মনে করছেন৷

Advertisement

অনীত বলেছেন, ‘‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পাহাড়ে অনেক বার এসেছেন। মংপুতে আসতেন। এই জায়গাটা পাহাড়ের হেরিটেজ সম্পদ। বাঙালি ও গোর্খাদের মধ্যে তিনি সেতু তৈরির কাজ করেছেন। আজকের দিনে এটি আমাদেরই এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘গোর্খাল্যান্ড আমাদের কাছে মায়ের মতো। অথচ, নেতারাই একে ভোটের বাজারে বস্তু বানিয়ে দিয়েছে। ভোট এলেই ঝুলি থেকে আলাদা রাজ্য, আলাদা সম্প্রদায়ের ব্যবস্থা— সব বেরিয়ে আসে। আমরা এই চিন্তা-ভাবনাকে বদলাতে চেষ্টা চালাচ্ছি।’’ তিনি জানান, সরকারের কাছে দাবি জানানোর পথটাই ভুল ছিল, তাই এত দিন তাঁদের দাবি পূরণ হয়নি, উন্নয়নের কাজ হয়নি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘রবীন্দ্রভাবনার মতো মানুষকে জোড়ার কাজ করতে হয়। বিচ্ছিন্ন করার কাজ, সবাই পারে।’’

পাহাড়ের নেতারা মনে করছেন, রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীতে পাহাড় শুধু নয়, বাংলাকেও বার্তা দিয়েছেন অনীত। গোলমাল, সমস্যা এড়িয়ে এক জোটে কাজের কথা বলেছেন। তিনি জানেন, রাজ্য বিভাজনের কথা শুনবে না। কেন্দ্র থেকে রাজ্য সরকার— কেউ সে প্রসঙ্গে সাড়া দেয়নি। ফলে, ভোটে যতই আলাদা রাজ্যের কথা বলা হোক, বাস্তব পুরো আলাদা। সেখানে কেন্দ্র বা রাজ্যকে ধরে উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া বেশি লাভজনক বলেই অনীত মনে করছেন। জিটিএ প্রধান বলেছেন, ‘‘পাহাড়ে শান্তি বজায় রেখে উন্নয়নের, পর্যটনের কাজকরে যেতে হবে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন