সংযত হওয়ার নির্দেশ দিলেন গৌতম

ছাত্রীদের মধ্যে মারপিটের ঘটনায় শুক্রবার উত্তাল হয়েছিল শিলিগুড়ি মহিলা কলেজ। ওই ঘটনার পরদিন শনিবারই দলের ছাত্র সংগঠনকে সংযত হওয়ার বার্তা দিলেন পর্যটন মন্ত্রী ও তৃণমূলের দার্জিলিংয়ের জেলা সভাপতি গৌতম দেব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০১৯ ০৫:১২
Share:

গৌতম দেব

ছাত্রীদের মধ্যে মারপিটের ঘটনায় শুক্রবার উত্তাল হয়েছিল শিলিগুড়ি মহিলা কলেজ। ওই ঘটনার পরদিন শনিবারই দলের ছাত্র সংগঠনকে সংযত হওয়ার বার্তা দিলেন পর্যটন মন্ত্রী ও তৃণমূলের দার্জিলিংয়ের জেলা সভাপতি গৌতম দেব।

Advertisement

শনিবার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড উৎসবে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘সিপিএম জমানায় এরকম মারধর আমাদের উপর অনেক হয়েছে। কিন্তু আমাদের ছাত্র সংগঠনের আরও সংযত হওয়া উচিত ছিল ওই ঘটনায়। সিপিএম প্ররোচনা দিতেই পারে। তার মানে এই নয়, গিয়ে চুলোচুলিতে জড়াতে হবে।’’ যদিও এ দিন দার্জিলিং জেলা টিএমসিপি সভাপতি নির্ণয় রায় বলেন, ‘‘দল যেমন বলবে তেমনভাবেই চলব। কিন্তু ‘সিপিএমের হার্মাদ’দের আক্রমণ প্রতিহত করতে শেষ দেখে ছাড়ব।’’

শুক্রবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ব্রিগেড চলো কর্মসূচির প্রস্তুতি মিছিলে শিলিগুড়ি মহিলা কলেজ থেকে জোর করে ছাত্রীদের নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তোলে এসএফআই। বৃহস্পতিবার কলেজের এসএফআই নেত্রী অনিন্দিতা চক্রবর্তী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। পরদিন তাঁকে চাপ দিয়ে ওই অভিযোগ প্রত্যাহার করাতে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া হয় বলে ফের অভিযোগ ওঠে টিএমসিপির বিরুদ্ধে। সেই শুনে বোনের খোঁজে অনিন্দিতার দিদি অয়ন্তিকা কলেজে গেলে তাঁর সঙ্গে মারপিটে জড়িয়ে পড়েন কলেজের টিএমসিপি নেত্রী সুশ্বেতা করচৌধুরী ও আরও কয়েকজন। মেয়েকে বাঁচাতে এসে সুশ্বেতাকে চড় মারার অভিযোগ ওঠে অয়ন্তিকার বাবা সিটু নেতা অজয় চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেও। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা হয়। অনিন্দিতাও পাল্টা অভিযোগ দায়ের করে থানায়। যদিও পুলিশ সূত্রের খবর, এখনই কাউকে গ্রেফতার করার কোনও পরিকল্পনা নেই।

Advertisement

শিলিগুড়ি পুরসভা বামেদের দখলে থাকলেও ২৩ নম্বর ওয়ার্ড দীর্ঘ দিন ধরে তৃণমূলের দখলে। ওই ওয়ার্ডে শিলিগুড়ি মহিলা কলেজেও ছাত্র সংসদ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দখলে। প্রায় চার বছর আগে এসএএফআই নেত্রী ইন্দ্রাণী সরকারকে মারধর করার ঘটনায় শিরোনামে আসে কলেজটি। যদিও ইন্দ্রাণী পরে টিএমসিপিতে যোগ দেন। টিএমসিপি জেলা সভাপতি নির্ণয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। ইন্দ্রাণী এখন টিএমসিপি নেত্রী।

তবে কলেজের শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের মধ্যে বামের প্রভাব বেশি বলেই জানাচ্ছেন কলেজের অনেকে। অজয় চক্রবর্তীও ওই কলেজেই প্রাক্তন কর্মী ছিলেন। ফলে, বামেরা ফের পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে মরিয়া বলেই নিত্য গোলমাল বাঁধছে বলে মনে করেন অভিভাবকদের অনেকেই। এ দিন সিপিএমের মিছিলের শেষে শিলিগুড়ির বিধায়ক তথা মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘পুরো ঘটনা কলেজের অধ্যক্ষের যোগসাজশেই হয়েছে।’’ তবে কলেজের অধ্যক্ষ সুব্রত দেবনাথ গত কয়েকদিন হল ছুটিতে। তাঁর কথায়, ‘‘আমি তো কলেজেই নেই। অন্য শিক্ষিকা দায়িত্বে। এ গুলো সব অবান্তর কথা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন