PMAY

পাহাড়ে আবাস যোজনার সমীক্ষা শুরু কয়েক মাসের মধ্যেই

প্রশাসন সূত্রের খবর, পাহাড়ে শেষ বার গত ২০১১ সালে আবাস যোজনার সমীক্ষা হয়েছিল। সরকারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ঘর দেওয়া শুরু হয়েছিল ২০১৪-’১৫ নাগাদ। তালিকায় নাম ছিল ন’হাজারের মতো।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:০৩
Share:

Anit Thapa in NJP station ফেরা: শুক্রবার এনজেপি স্টেশনে অনীত থাপা। ছবি: স্বরূপ সরকার।

দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের কাজের সমীক্ষা করার জন্য রাজ্যের কাছে আবেদন জানালেন (গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) জিটিএ কর্তৃপক্ষ। চলতি সপ্তাহে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন জিটিএ-র চিফ এগজ়িকিউটিভ অনীত থাপা। সরকারি সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জিটিএ-কে শক্তিশালী করা ছাড়াও, নানা দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি, পাহাড়ে আবাস যোজনার কাজের সমীক্ষার কাজ করার কথাও বলা হয়। পরে, রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও স্বরাষ্ট্র সচিব বিপি গোপালিকার সঙ্গে অনীতের বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। আপাতত জানা গিয়েছে, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, কয়েক মাসের মধ্যে পাহাড়ের আবাস যোজনা নিয়ে সমীক্ষার কাজ হতে পারে। জিটিএ প্রধান অনীত শুক্রবার বলেছেন, ‘‘পাহাড়ের উন্নয়নের কাজ আমরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে করছি। জমির পাট্টা দেওয়া শুরু হবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যের সঙ্গে আবাস প্রকল্প নিয়ে কাজ হয়েছে। ভবিষ্যতেও হবে।’’

Advertisement

প্রশাসন সূত্রের খবর, পাহাড়ে শেষ বার গত ২০১১ সালে আবাস যোজনার সমীক্ষা হয়েছিল। সরকারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ঘর দেওয়া শুরু হয়েছিল ২০১৪-’১৫ নাগাদ। তালিকায় নাম ছিল ন’হাজারের মতো। প্রশাসনিক স্তরে তালিকা খুঁটিয়ে দেখার পরে বাদ যায় তিন হাজার নাম। বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল ছয় হাজারের মতো। এখনও দেড় শতাধিক উপভোক্তা নানা কারণে বিভিন্ন কিস্তির টাকা পাননি। এর মধ্যে পাহাড়ের জন্য একাধিক জনজাতি বোর্ডের মাধ্যমে অনেক উপভোক্তা ঘর পেয়েছেন। কিন্তু ‘জিটিএ’ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাতেই জোর দিতে চেয়েছে।

‘জিটিএ’-র কয়েক জন আধিকারিক জানান, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পাহাড়ে এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা মেলে। সেখানে পাহাড়ের জনজাতি বোর্ডগুলি দেড় লক্ষ টাকা করে ঘর তৈরির জন্য দিয়েছে। কিন্তু সে ঘরের মান, গুণমান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আবার প্রতিটি জনজাতি বোর্ড নিজের জাতির মধ্যে এলাকায় ঘর বিলি করেছে। তাতে কোনও এলাকায় সরকারি নিয়মে উপভোক্তা একাধিক থাকলেও, ঘর পেয়েছেন দু’জন। এ ছাড়া, পুরনো তালিকায় সরকারি প্রথম কিস্তির টাকা পেলেও, বাকি দু’টি কিস্তির টাকা অনেকে পাননি বলে অভিযোগ। অনেকের ঘর বা বাড়ি অসম্পূর্ণ রয়েছে। নতুন করে সমীক্ষা করে সেগুলির কাজ শেষ করারও পক্ষে জিটিএ। আবার মানুষ যাতে জনজাতি বোর্ড ছাড়াও, জিটিএ-র মাধ্যমেই বেশি আবাস যোজনার সুবিধা পান, সেটাই দেখা হচ্ছে।

Advertisement

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় দল পাহাড়ে এসেছিল। তারা দার্জিলিং পুরসভা এলাকা, সোনাদা, কালিম্পং-১, পেদং এবং গরুবাথান এলাকায় ঘুরেছে। মূলত, পুরনো আবাস প্রকল্প হলেও, কেন অনেক ক্ষেত্রে কাজ শেষ হয়নি, তা কেন্দ্রীয় দল ঘুরে দেখেছে। জিটিএ-র সচিব পর্যায়ের আধিকারিক জানান, ২০১৪-’১৫ সালের পরে পাহাড়ের পরিবেশ পরিস্থিতি বদলে যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন