ঝুলন্ত সেতু বসবে করলা নদীতে

উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “সুনীতিবালা সদর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সামনের সেতুটি বিপজ্জনক অবস্থায় আছে। সেখানে আমরা স্টিলের ফ্রেম দিয়ে হাওড়া সেতুর মতো একটি ঝুলন্ত সেতু নির্মাণ করে দেব।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৮ ১২:২৯
Share:

ফাইল চিত্র।

সেতু বেহাল নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল আগেই। দুর্ঘটনা রুখতে নতুন সেতু গড়ার কথাও জানানো হয়েছিল। এ বার আসরে নামল উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর।

Advertisement

উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “সুনীতিবালা সদর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সামনের সেতুটি বিপজ্জনক অবস্থায় আছে। সেখানে আমরা স্টিলের ফ্রেম দিয়ে হাওড়া সেতুর মতো একটি ঝুলন্ত সেতু নির্মাণ করে দেব।” উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর সুত্রে জানা যায়, সেতুটি তৈরি করতে মোট খরচ হবে ১৫ কোটি টাকা।

জলপাইগুড়ি শহরের সমাজপাড়া এবং হাকিমপাড়ার মাঝে ওই সেতুটি সত্তরের দশকে তৈরি। সেতুটির লোহার খুঁটিগুলি খয়ে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছে। বিষয়টি পুরসভার নজরে আসার পর পুরসভার পক্ষ থেকে সেতুটির ওপর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। সেতু থেকে নামার দু’দিনেক রাস্তায় বড় গেট করে দিয়ে যানবাহন চলাচল কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়।

Advertisement

এলাকার বাসিন্দারা জানান, ওই উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা সেতুটি দিয়ে যাতায়াত করে। জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি পুলিশ স্টেশনের অবস্থানও সেতুর কাছে। হাকিমপাড়া, সেনপাড়া, রায়কতপাড়া বাদ দিলে অন্যদিকে শহরের বাকি অংশ থেকে সদর হাসপাতালে আসতে গেলে এই সেতুটির ওপর দিয়েই আসতে হয়।

শহরের প্রবীন বাসিন্দারা জানান, লোহার খুঁটি বসানো এই সেতুটি তৈরি হওয়ার আগে এখানে একটি ঝুলন্ত সেতু ছিল। শহরে তা ‘ঝোলনা ব্রিজ’ নামে পরিচিত ছিল। ষাটের দশকের গোড়ায় একবার ছট পুজোর সময় ভিড়ের চাপে সেতুটি ছিঁড়ে পরে যায়। প্রচুর লোক হতাহত হয়। তারপর বর্তমান সেতুটি তৈরি হয়।

উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের দাবি, নতুন সেতুতে লোহার দড়ির বদলে স্টিলের ফ্রেমের ওপর সেতুটি ধরা থাকবে। সাধারণত জলের ওপর খুঁটি বসিয়ে সেতু তৈরি করলে সেতুর খুঁটিতে মরচে পরে যায়। এ ধরণের সেতুতে তা হবে না। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বর্তমান সেতুটি পুরসভা নিলামে বিক্রি করে দেবে। তারপরে নতুন সেতুর কাজে হাত দেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন