নতুন: নরেন্দ্রনাথ পার্কে এই ঝুলন্ত উদ্যানও থাকবে। নিজস্ব চিত্র
ভ্যালেন্টাইন্স ডের মুখে একসঙ্গে ওয়াটার ব্যারেল ও ঝুলন্ত উদ্যান চালু হচ্ছে কোচবিহারের নরেন্দ্রনারায়ণ পার্কে। আজ, শনিবার বিকেলে ওই প্রকল্প দু’টির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। পাশাপাশি শিশুদের জন্য থাকছে খেলনা গাড়িও। বন দফতরের উদ্যান ও কানন বিভাগ সূত্রেই জানা গিয়েছে, পার্কের আকর্ষণ বাড়াতে ওই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ওই কাজে খরচ হয়েছে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা।
বন কর্তাদের দাবি, কোচবিহার জেলায় কোনও উদ্যানের মধ্যে এই পার্কেই প্রথম ওয়াটার ব্যারেল চালু হচ্ছে। বড় আকারে ঝুলন্ত উদ্যানের প্রকল্পও উত্তরবঙ্গের অন্য কোনও পার্কে এ ভাবে হয়নি। উদ্যান ও কানন বিভাগের উত্তরবঙ্গের ডিএফও কৌশিক চৌধুরী বলেন, “পার্কের আকর্ষণ বাড়াতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ওই ভাবনা থেকে ওয়াটার ব্যারেল, ঝুলন্ত উদ্যান, টয় কার চালু করা হচ্ছে।”
উদ্যান ও কানন বিভাগ সূত্রেই জানা গিয়েছে, গত বছর ওই উদ্যানের জলাশয়ে ভাসমান গোলক চালু করা হয়। প্লাস্টিকের বিশালাকার হাওয়া ভরা ওই বেলুনে আগ্রহীরা জলে ভেসে বেড়ানর আনন্দ উপভোগে ভিড় ও করেন। কিন্তু একসঙ্গে একাধিক জন ওই আনন্দ উপভোগের সুযোগ না পাওয়ায় অনেকেই আক্ষেপ করতেন। তা ঘোচাতেই এ বার ওয়াটার ব্যারেল চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ওয়াটার ব্যারেলে চাপতে হলে অবশ্য লাইফ জ্যাকেট পড়া বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। ওই পার্কের রেঞ্জ অফিসার সজল পাল জানিয়েছেন, ব্যারেলে একসঙ্গে ৩ জন চাপতে পারবেন। জলে ভেসে আনন্দ উপভোগের ব্যবস্থা নিয়ে আগ্রহও রয়েছে মানুষের।
পার্কের মূল গেট দিয়ে কিছুটা এগোলেই নজর কাড়বে ঝুলন্ত উদ্যান। খানিকটা দূর থেকে ১২ ফুট দীর্ঘ, ২১ ফুট প্রস্থ লোহার কাঠামোর ওপর এক হাজারের বেশি চারাগাছ দিয়ে উদ্যান তৈরি হয়েছে। গাছের সারি দিয়েই লেখা হয়েছে পার্কের নাম। পার্কের বাংলায় নাম লেখা হয়েছে গোল্ডিয়ানা গাছের সারি দিয়ে। পাশেই রাখা হয়েছে রেড আইসরিনের গাছের সারি। চার দিক ঘেরা হয়েছে ক্যালান্ডুলা, পেঞ্জি গাছের সারিতে। দফতর কর্তাদের দাবি, মালবাজার পার্কে প্রথম ছোট আকারে ঝুলন্ত উদ্যান করা হয়। এত বড় মাপের ঝুলন্ত উদ্যান উত্তরে এই প্রথম। পার্কের বিট অফিসার সুদীপ দাস জানান, দূর থেকে পার্কের নাম দেখা যাবে।
উদ্যান পালন দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, মাসে গড়ে ১০ হাজার লোক ওই পার্কে আসেন। তাদের মধ্যে একটা বড় অংশ স্কুল কলেজ পড়ুয়া বা তরুণ-তরুণী। গত কয়েক বছর ধরেই সেখানে নতুন প্রকল্প তৈরি করে আকর্ষণ বাড়ানর চেষ্টা হচ্ছে। ইতি মধ্যে টয়ট্রেন, নৌকাবিহার, ভাসমান বেলুনে সময় কাটানর ব্যবস্থা চালু হয়েছে। শনিবার প্রকল্পের উদ্বোধন ও পুষ্প প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। কয়েক জন বাসিন্দা জানান, নয়া প্রকল্পে পার্কটি বাড়তি মাত্রা পাবে।