খুশি: হরকাবাহাদুর। নিজস্ব চিত্র
ফুলের শহর কালিম্পং ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকেই ভোটের লাইনে। তা দেখে রবিবার সকালে স্বস্তির ছাপ দেখা গিয়েছে হরকাবাহাদুর ছেত্রীর চোখেমুখে। বাড়ি থেকে বেরিয়ে হেঁটে নিজের ওয়ার্ড ১৮ নম্বরের জুনিয়র বেসিক প্রাথমিক স্কুলের বুথে গিয়ে ভোট দেন। তার পর দলের লোকদের নিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে গাড়ি নিয়ে চরকি পাক খেয়ে ভোট পরিচালনা করেন সারা দিন। জন আন্দোলন পার্টির সুপ্রিমো কথা বলতে বলতে কখনও তৃণমূল শিবিরে, কখনও মোর্চার শিবিরেও এ দিন হাজির হয়েছেন। গাড়ি থমিয়ে কথা বলেছেন বাসিন্দাদের সঙ্গে। যা দেখে বিরোধী পক্ষও জাপের জন সংযোগের প্রশংসা করেছে।
যেমন নিজের ভোট দিতে গিয়ে সেখানে তৃণমূল প্রার্থী লজিকা ভুজেলের সঙ্গে দেখা হতেই হাত শিলিয়ে কথা বলেন। ১৭ এবং ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বুথ একটি স্কুলের কাছে দেখা কালিম্পং পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সি কে কুমাই এবং তিন বারের প্রাক্তন বিধায়ক গৌলেন লেপচার সঙ্গে। সে সময় দু জনেই জিএনএলএফের টিকিটে জিতেছিলেন। এখন তৃণমূল শিবিরে। হরকাবাহাদুরের সঙ্গে দেখা হতেই দু জনেই তাঁকে জড়িয়ে ধরেন। হরকাবাহাদুরের উন্নয়নের স্লোগানকে সমর্থন করে সিকে কুমাই, গৌলেন লেপচারা বলেন, ‘‘উন্নয়নে আমরা আপনার সঙ্গে আছি।’’
একটু পরেই ২১ নম্বর ওয়ার্ডে গভর্নমেন্ট স্কুলের সামনে দেখা মোর্চার কালিম্পঙের সভাপতি রামবাহাদুর ভুজেলের সঙ্গে। হরকাবাহাদুর গিয়ে বসে পড়েন রামবাহাদুরের পাশেই। বলেন, ‘‘আমি পাশে থাকলে পদ যাবে না তো?’’ সকলে হেসে ওঠেন। তার পরেই বলেন, ‘‘জাপ পুরবোর্ড গড়বে সে তো আপনিও জানেন।’’ রামবাহাদুর বলেন, ‘‘এত দিন যেখানে কনস্টেবল পাঠিয়ে ভোট করানো হতো, এখন সেখানে এডিজি, পুলিশ সুপারদের গাড়ির কনভয় গিয়ে দাঁড়াচ্ছে। গণতন্ত্র কী এটাই?’’ ভোটে নজরদারির ফাঁকে হরকাবাহাদুর দলীয় অফিসে বসে দুপুরে খেলেন। বলেন, ‘‘যারা এত দিন গণতন্ত্রের কথা বলেছেন, তাঁরা পুলিশ দেখলে অবাকই বা হবেন কেন? পুলিশ থাকা তো ভালই।’’