Dengue

ডেঙ্গি নিয়ে তরজায় দুই পক্ষ

ডেঙ্গির মশা রুখতে শিলিগুড়ির ওই ১৪টি ওয়ার্ডে কী কাজ হচ্ছে তা নিয়েও সন্দিহান স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কেউ কেউ। এক আধিকারিকের মন্তব্য, “শিলিগুড়ির পুর এলাকাতে যে ডেঙ্গি বেশি হচ্ছে তা বুঝতে কোনও বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন হয় না। রিপোর্টে চোখ বোলালেই হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৮ ০৫:৫১
Share:

প্রতীকী ছবি।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী এই বছর জানুয়ারি থেকে জলপাইগুড়ি জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১০৭ জন। তার মধ্যে ৪৫ জনই শিলিগুড়ি পুর এলাকার বাসিন্দা। শিলিগুড়ি পুর এলাকার ১৪টি ওয়ার্ড প্রশাসনিক ভাবে জলপাইগুড়ি জেলার অন্তর্গত। কিন্তু শিলিগুড়ি পুরসভা প্রশাসনিক ভাবে দার্জিলিং জেলার আওতায়। এ দিকে ডেঙ্গি বা জ্বরের প্রকোপ রোখার প্রাথমিক কাজ সংশ্লিষ্ট পুরসভা বা গ্রাম পঞ্চায়েত করে। ফলে জ্বরের প্রকোপ রুখতে শিলিগুড়ি পুরসভার উপর চাপ দেওয়া যাচ্ছে না বলে আক্ষেপ জলপাইগুড়ি জেলার স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশের।

Advertisement

ডেঙ্গির মশা রুখতে শিলিগুড়ির ওই ১৪টি ওয়ার্ডে কী কাজ হচ্ছে তা নিয়েও সন্দিহান স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কেউ কেউ। এক আধিকারিকের মন্তব্য, “শিলিগুড়ির পুর এলাকাতে যে ডেঙ্গি বেশি হচ্ছে তা বুঝতে কোনও বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন হয় না। রিপোর্টে চোখ বোলালেই হয়। সারা জেলায় ১০৭ জনের ডেঙ্গি হল, তার প্রায় অর্ধেক রোগী শিলিগুড়ি পুরসভার ১৪টি ওয়ার্ডের।” সূত্রের খবর, জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে রাজ্যকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। শিলিগুড়ির পুর এলাকায় মশার লার্ভা খোঁজার কাজে জোর দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা।

কিন্তু শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য জলপাইগুড়ি জেলার ডেঙ্গি পরিসংখ্যান নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, ওই এলাকাগুলির কয়েকটি প্যাথোলজি পরীক্ষাগার ভুল রিপোর্ট দিচ্ছে। তাতেই বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। ডেঙ্গি নিয়ে অশোকের পাল্টা প্রশ্ন, “সারা রাজ্যের কোনও জেলা থেকে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বলা হচ্ছে না। অথচ জলপাইগুড়ি জেলা তা জানাচ্ছে। শিলিগুড়ি পুর এলাকায় ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা বেশি দেখানো হচ্ছে বলেই এখানে কত আক্রান্ত তার তথ্য জানানো হচ্ছে।” যদিও এই অভিযোগ নস্যাৎ করে জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা জানান, সরকারি প্যাথোলজি থেকে প্রাপ্ত রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতেই ওই পরিসংখ্যান তৈরি হয়েছে।

Advertisement

চাপানউতোর যাই থাক, তথ্য বলছে মাসখানেকের মধ্যে শিলিগুড়ির ১৪টি ওয়ার্ডে অন্তত ১০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এই ওয়ার্ডগুলোতে অন্তত ৭০০ জনের শরীরে ডেঙ্গি উপসর্গের দেখা মিলেছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, শিলিগুড়ির পুর এলাকায় যে রোগ সংক্রমণের প্রবণতা বেশি তা গত মাসে টের পেয়েই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল। রাজগঞ্জে একটি বৈঠকেও ডাকা হয়েছিল শিলিগুড়ির পুর কর্তৃপক্ষকে। তাতেও কোনও ফল মেলেনি বলে দাবি।

জলপাইগুড়ি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘ডেঙ্গি নিয়ে কোনও তথ্যই গোপন করা হচ্ছে না। ধূপগুড়ি, জলপাইগুড়ি পুরসভা এলাকায় যথাযথ ভাবে কাজ হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এ বার রোগে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কম। তবে শিলিগুড়িতে কয়েকটি ওয়ার্ডে সংক্রমণের হার খানিকটা বেশি। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন