কোচবিহার জুড়েই জল

কোচবিহার শহরে বর্ষা শুরু হলে নিকাশি নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মানুষ। এবারেও তাঁর অন্যথা হয়নি। প্রধান সড়ক দিনহাটা রোড থেকে শুরু করে আশ্রম রোড, নিউটাউন, লাইফলাইন সুনীতি রোড থেকে শুরু করে রাজবাড়ির সামনে কেশব রোডে হাঁটু জল দাঁড়িয়ে পড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৭ ০৩:৫৩
Share:

জলমগ্ন: কোচবিহারের অনেক এলাকারই এমন দশা। নিজস্ব চিত্র

কোথাও দাঁড়িয়ে গিয়েছিল হাঁটু জল। কোথাও ঘরের ভেতরে থইথই করছিল জলে। রবিবার রাতভর বৃষ্টিতে এমনই অবস্থা দাঁড়িয়েছে কোচবিহারে।

Advertisement

সোমবার সকাল থেকেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা জল নিয়ে চরম বিপাকে পড়তে হয় বাসিন্দাদের। শহর থেকে শুরু করে তোর্সা সংলগ্ন ওই এলাকায় ওই দৃশ্য দেখা গিয়েছে। তোর্সার চড় সংলগ্ন টাকাগাছ, ঘুঘুমারি এলাকায় কয়েকশ মানুষ প্রায় রাতভর জেগে কাটান। তাঁদের অনেকেই জানান, তোর্সার জল ঘরে ঢুকে গিয়েছিল। অবস্থা খারাপ হতে পারে আশঙ্কায় গবাদি পশু উঁচু জায়গায় নিয়ে গিয়ে বেঁধে রাখেন তাঁরা। বেশি রাতের দিকে জল কমতে শুরু করলে স্বস্তি ফেরে তাঁদের। কোচবিহারের জেলাশাসক কৌশিক সাহা বলেন, “বর্তমানে জল বিপদ সীমার নিচে রয়েছে। তেমন পরিস্থিতি হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।”

কোচবিহার শহরে বর্ষা শুরু হলে নিকাশি নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মানুষ। এবারেও তাঁর অন্যথা হয়নি। প্রধান সড়ক দিনহাটা রোড থেকে শুরু করে আশ্রম রোড, নিউটাউন, লাইফলাইন সুনীতি রোড থেকে শুরু করে রাজবাড়ির সামনে কেশব রোডে হাঁটু জল দাঁড়িয়ে পড়ে। ২ নম্বর ওয়ার্ডের মতো কয়েকটি ওয়ার্ডে রাস্তার উপর থেকে স্রোত বইতে থাকে। রাজবাড়ির মতো জায়গায় কেন নিকাশি নালার এমন বেহাল অবস্থা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মানুষ। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি শহরের বাসিন্দা। তিনি বলেন, বাড়ির মধ্যেই জলে থইথই করছিল। বছর ঘুরে যায় নিকাশির হাল পাল্টায় না। এভাবে কতদিন চলবে।” কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান ভূষণ সিংহ বলেন, “নিকাশি নালা বহু জায়গায় বেদখল হয়ে রয়েছে। সেগুলি নিয়ে অভিযান চালানোর ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। আমরা আশা করছি দ্রুত এই অবস্থার পরিবর্ত্ন হবে।”

Advertisement

তোর্সার চর এলাকায় গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের পূর্ত কর্মাধখ্য খোকন মিয়াঁ। তিনি বলেন, “আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। কারী যাতে কোনও অসুবিধে না হয় সেদিকে নজর রাখছি।”

পরিস্থিতি কিছুটা উদ্বেগজন পাশের জেলা আলিপুরদুয়ারেও। সেখানে আলিপুরদুয়ারে ১০০ মিলিমিটার, হাসিমারা ৭০.৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। শিলিগুড়িতেও রবিবার রাত থেকে বৃষ্টি পরিমাণ কমেছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৩৪.৭ মিলিটার বৃষ্টি হয়েছে। ডুয়ার্স ও ধূপগুড়ি, বীরপাড়ার বন্যা পরিস্থিতি সোমবার অনেক উন্নতি হয়েছে। নতুন করে কোন নদীর জল বাড়ার খবর নেই। এদিন দুপুর থেকে হালকা রোদের দেখা মিলেছে। ফালাকাটায় নতুন করে বন্যা পরিস্থিতি না হলেও রবিবারের উঠা জল সোমবার দুপুরের আগে পযর্ন্ত বিভিন্ন জায়গায় জল দাঁড়িয়ে ছিল। দুপুরের পর থেকে জল নামতে শুরু করে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন