টানা বৃষ্টিতে নতুন করে প্লাবিত জলপাইগুড়ি

দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে জলপাইগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় জলবন্দি হয়ে পড়েছেন বাসিন্দারা। অবিরাম বৃষ্টি এবং তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নদীগুলির জলস্তর বাড়তে থাকায় আতঙ্কিত নীচু এলাকার বাসিন্দারা। কপালে ভাঁজ পড়েছে প্রশাসনেরও। সোমবার ভোরে করলা নদীর জল আরও বেড়ে যাওয়ায় কোথাও কোমর সমান, কোথাও হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৫ ১২:৪৭
Share:

জল ঢুকে গিয়েছে সদর হাসপাতালে। ছবি: সন্দীপ পাল।

দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে জলপাইগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় জলবন্দি হয়ে পড়েছেন বাসিন্দারা। অবিরাম বৃষ্টি এবং তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নদীগুলির জলস্তর বাড়তে থাকায় আতঙ্কিত নীচু এলাকার বাসিন্দারা। কপালে ভাঁজ পড়েছে প্রশাসনেরও। সোমবার ভোরে করলা নদীর জল আরও বেড়ে যাওয়ায় কোথাও কোমর সমান, কোথাও হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়েছে। দিনবাজার, মাছবাজার, সমাজপাড়া এলাকা এ দিন নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতলেও জল ঢুকে গিয়েছে। অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের। রবিবার রাতেই জলপাইগুড়ি শহরের বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়েছিল। এ দিন সকালে নতুন করে জল ঢোকায় পরিস্থিতি আরও বিগড়েছে।

Advertisement

অন্য দিকে, বেরুবাড়ি এলাকার পরিস্থিতিও খুব একটা ভাল নয়। যে কোনও সময় গ্রামগুলি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ডকাইচাঁদ নদী ফুলে ফেঁপে উঠেছে। জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে একটি কংক্রিটের সেতু। বেরুবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষ্মীনগর এবং সরকারপাড়ার মাঝে যমুনা নদীর উপর প্রায় ১০০ মিটার লম্বা বাঁশের সাঁকো বসে গিয়েছে। প্রবল ঝুঁকি নিয়ে মানুষ সেতু পারাপার করছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই সেতুটির গুরুত্ব অনেক। কাচামাল, সব্জি-সহ পণ্যসামগ্রী এই সেতু পেরিয়ে শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। স্কুলের ছেলে-মেয়েরা যাতায়াত করে। তাঁরা জানিয়েছেন, সেতুটির যা অবস্থা যো কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement