Tufanganj

বাঁধের কাজ নিয়ে তরজা, মন্ত্রীর তির প্রধানকে

চারদিনের প্রবল বৃষ্টিতে নাককাটিগাছ গ্রাম পঞ্চায়েতের দ্বিপড়পার এলাকায় রায়ডাক নদীবাঁধের চার জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তুফানগঞ্জ শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২০ ০৬:০৪
Share:

প্রতীকী ছবি

বৃষ্টিতে একাধিক জায়গায় ফাটল ধরে নদীবাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা। তারই মধ্যে বাঁধের কাজ নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু তুফানগঞ্জের নাককাটিগাছ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। বিষয়টি নিয়ে এলাকার তৃণমূল প্রধানের বক্তব্য, বাঁধের কাজ নিয়ে তাঁকে কেউ কিছু বলেন না। তিনি কিছুই জানতে পারেন না। এ নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করেছেন প্রধানকে। তবে প্রধানের কথা প্রেক্ষিতে রীতিমতো সতর্কতার সুরেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বক্তব্য, নিজে উদ্যোগী হয়েই এইসব ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে হয়।

Advertisement

চারদিনের প্রবল বৃষ্টিতে নাককাটিগাছ গ্রাম পঞ্চায়েতের দ্বিপড়পার এলাকায় রায়ডাক নদীবাঁধের চার জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। এলাকার তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান শচীন্দ্রনাথ বর্মণের বক্তব্য, ‘‘কোথায় কখন কীভাবে বাঁধের কাজ হচ্ছে, আমাকে বিষয়টি কখনওই জানানো হয় না।’’ তবে প্রধানের বক্তব্য খণ্ডন করেছে জেলা সেচ দফতর। তুফানগঞ্জ সেচ দফতরের আধিকারিক বিশ্বজিৎ দেব শনিবার জানান, কোথায় কখন বাঁধের কাজ হচ্ছে স্থানীয় বিধায়ক ও পঞ্চায়েত প্রধানকে সব জানানো হয়। তিনি জানান, ওই এলাকার নদীবাঁধে ধস নেমেছে। মেরামত হবে। সেচ দফতরের দেওয়া ১ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা দিয়ে ওই এলাকায় রায়ডাক নদীবাঁধের কাজ হয়েছে। সেচ দফতর সূত্রে খবর, প্রায় ছ’মাস আগে এই বাঁধের কাজ শেষ হয়। যদিও স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ হয়েছে। সেইজন্যই নদীবাঁধেফাটল দেখা দিয়েছে। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজের অভিয়োগের বিষয়টি মানতে চায়নি সেচ দফতর।

তবে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি একহাত নিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধানকে। তাদের বক্তব্য, নিজের দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলতেই এমন কথা বলছেন প্রধান। সিপিএমের নেতা তমসেরর আলি বলেন, ‘‘তৃণমূলের নেতা এবং প্রধানেরা ঠিকাদার সংস্থার থেকে কাটমানি তুলতে ব্যস্ত থাকেন। যে কোনও কাজেই কাটমানি নেওয়া হয়। যার ফলে ঠিকাদাররাও বাধ্য হয় নিম্নমানের সামগ্রী দিতে। এখন দায় নিজের কাঁধের থেকে ঝেড়ে ফেলতে এমন কথা বলছেন প্রধান।’’

Advertisement

পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এ দিন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘নিজের তদারকিতেও জেনে নিতে হয় কোথায় কী কাজ হচ্ছে। আমিও তো বিভিন্ন এলাকা ঘুরছি। এ দিনও সন্তোষপুর কৃষ্ণপুর এলাকায় ছ’শো বানভাসি লোককে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন