দোলে চাহিদার কথা মাথায় রেখে এ বার ভেষজ আবিরের উৎপাদন বাড়াচ্ছে বন দফতর। দফতর সূত্রের খবর, গত বছর দোলের সময় ৫৫০ কেজি ভেষজ আবির তৈরি করা হয়। তাতে ভাল সাড়া মেলে। এমনকী শেষের দিকে আগ্রহী ক্রেতাদের অনেককে খালি হাতেও ফিরতে হয়। ওই চাহিদার কথা মাথায় রেখেই এ বছর প্রায় দ্বিগুণ করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে।
তবে গ্রাহকদের চাহিদা থাকলেও এ বার আবিরের দাম বাড়ানো হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। তিনি বলেন, ‘‘ভেষজ আবির ব্যবহার নিয়ে বাসিন্দাদের আগ্রহ অনেকটা বেড়েছে। আমরা ওই ব্যাপারে উৎসাহ আরও বাড়াতে চাইছি। তাই উৎপাদন বাড়ালেও দাম বাড়ানো হচ্ছে না।” গত বারের মত এ বারেও ১৫০ টাকা প্রতি কেজি দামে ভেষজ আবির বিক্রি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে তিনি জানান।
২০১৩ সালে প্রথমবার ভেষজ আবির উৎপাদন শুরু হয়। সে বার মাত্র দুই কুইন্টাল আবির তৈরি করা হয়। কমলা ও সবুজ দুই রঙের সেই আবির বাজারে সাড়া ফেলে। দফতরের কয়েকজন কর্তা জানিয়েছেন, গত বছর সবচেয়ে বেশি ভেষজ আবির তৈরি করা হয়েছিল। তাও সব বিক্রি হয়ে যাওয়ায় আশা বেড়েছে। এ বারেও তাই বাড়তি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
ভেষজ আবির তৈরিতে ব্যবহার করা হয় ফলের খোসা, বেলপাতা, সবুজ শাকের মত নানা সামগ্রী। সেই তালিকায় কমলালেবুর খোসা শুকিয়ে গুঁড়োর তৈরি উপকরণ যেমন রয়েছে, তেমনই সবুজ শাক থেকে বের করা রস, লেবুর তেল, গোলাপ জলের মত বিভিন্ন সামগ্রী রয়েছে। শিলিগুড়ির একটি কারখানায় ওই আবির তৈরির প্রস্তুতি ইতিমধ্যে অনেকটাই এগিয়েছে। উৎপাদিত আবির বন উন্নয়ন নিগম থেকে উদ্যান পালন দফতরের স্টল, উদ্যানের নানা কাউন্টারে বিক্রির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বনমন্ত্রীর দাবি, ‘‘ভেষজ আবির তৈরির উৎপাদন খরচের চেয়ে সামান্য বেশি দাম নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে আগ্রহী বেকারদের প্রশিক্ষণ দিয়ে বিকল্প কর্মসংস্থানের দিশা দেখানোতেও এ বার বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছি।’’