মনোনয়ন পত্র নিয়ে নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

ফালাকাটার একটি মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির নির্বাচনে এক অভিভাবককে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে বাধা দেওয়া ও মারধরের অভিযোগে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি সহিদুল্লা মুন্সি ওই মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন, আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার মধ্যে ওই অভিভাবকের হাতে মনোনয়ন পত্র তুলে দিতে। একই সঙ্গে বিচারপতির নির্দেশ, আজ বিকেল চারটের মধ্যে সেই মনোনয়ন পত্র জমাও নিতে হবে কর্তৃপক্ষকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:৩৪
Share:

ফালাকাটার একটি মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির নির্বাচনে এক অভিভাবককে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে বাধা দেওয়া ও মারধরের অভিযোগে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি সহিদুল্লা মুন্সি ওই মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন, আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার মধ্যে ওই অভিভাবকের হাতে মনোনয়ন পত্র তুলে দিতে। একই সঙ্গে বিচারপতির নির্দেশ, আজ বিকেল চারটের মধ্যে সেই মনোনয়ন পত্র জমাও নিতে হবে কর্তৃপক্ষকে।

Advertisement

মোকসেদুল হক নামে ওই অভিভাবকের আইনজীবী পারমিতা রায় জানান, তাঁর মক্কেলের মেয়ে বাদাইটারি উজিরিয়া হাই মাদ্রাসা ফর গার্লস-এ (ইউনিট-২) পড়ে। ওই মাদ্রাসায় পরিচালন সমিতির নির্বাচন হবে ৪ সেপ্টেম্বর। গত ২১ অগস্ট দুপুরে মোকসেদুল মনোনয়ন পত্র তুলতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, ওই অভিভাবক পিডিএস কর্মী হওয়ায় মাদ্রাসার টিচার-ইন-চার্জের সামনেই তাঁকে শাসক দলের মদতপুষ্ট এক দল লোক ঘিরে ধরে। তাঁর কাছ থেকে মনোনয়ন পত্র ছিনিয়ে নিয়ে তা ছিঁড়ে ফেলা হয়। তাঁকে বেধড়ক পেটানোও হয়। আইনজীবী জানান, ওই দিন ফালাকাটা থানায় লিখিত অভিযোগ জানান তাঁর মক্কেল। ২৪ অগস্ট ফের থানায় অভিযোগ জানানো হয়। কিন্তু পুলিশ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়নি বলে মোকসেদুলের দাবি। পরিচালন সমিতির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই অভিভাবক।

এ দিন সেই মামলার শুনানি ছিল। আদালতে সরকারি কৌঁসুলি দেবব্রত সাহা রায় জানান, এ বিষয়ে যা বলার সংশ্লিষ্ট টিচার-ইন-চার্জ বলতে পারবেন। কিন্তু তাঁর পক্ষে কোনও আইনজীবী এ দিন হাজির ছিলেন না। কলকাতায় পিডিএস নেতা লিটন ভাদুড়ি জানান, মোকসেদুল তাঁর দলের সক্রিয় কর্মী। কিন্তু সেই পরিচয় নিয়ে তিনি মাদ্রাসা পরিচালন কমিটির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। এক জন অভিভাবক হিসেবে তাঁর পরিচালন কমিটির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু কায়েমি স্বার্থান্বেষীরা তাঁকে বাধা দিচ্ছেন। হাইকোর্ট সুবিচার করেছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন