শৌচাগার বন্ধ, পানীয় জলও নেই হাসপাতালে

পানীয় জলের কল অকেজো। শৌচাগার থাকলেও তা বন্ধ। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীর আত্মীয় ও লোকজন এতে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন। গত দু’সপ্তাহ ধরে ওই সমস্যা নিরসনে হাসপাতাল এবং পুর কর্তৃপক্ষের তরফে হেলদোল নেই বলে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী বাসিন্দারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গঙ্গারামপুর শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০১৬ ০২:১৭
Share:

বন্ধ পড়ে রয়েছে। —নিজস্ব চিত্র

পানীয় জলের কল অকেজো। শৌচাগার থাকলেও তা বন্ধ। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীর আত্মীয় ও লোকজন এতে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন। গত দু’সপ্তাহ ধরে ওই সমস্যা নিরসনে হাসপাতাল এবং পুর কর্তৃপক্ষের তরফে হেলদোল নেই বলে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী বাসিন্দারা।

Advertisement

বাধ্য হয়ে হাসপাতাল চত্বরের পিছনে খোলা জায়গায় প্রাকৃতিক কাজকর্ম সারতে হচ্ছে বলে অভিযোগ রোগীর পরিজনদের। হাসপাতাল চত্বরে গঙ্গারামপুর পুরসভা পরিচালিত শৌচালয়টিতে হঠাৎ করে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি। বৈদ্যুতিক সংযোগের সমস্যায় রানিংওয়াটার সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ায় শৌচাগারটি বন্ধ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতাল লাগোয়া চত্বরে সুপার স্পেশলিটি হাসপাতাল ভবনের অন্তর্বিভাগ তৈরির কাজ চলছে। পুরনো মহকুমা হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে কিছু বিভাগ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নীচতলার ভবনে স্থানান্তরিত হলেও রোগী ভর্তি থেকে অপারেশনের মতো যাবতীয় চিকিৎসা পুরাতন মহকুমা হাসাপাতালের দোতালা ভবনেই চালু রয়েছে।

গোটা হাসপাতাল চত্বরে নিকাশির কোনও ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। বর্ষা মরসুমের কথা ভেবে উদ্বিগ্ন হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে কর্মীরা। ভারী বৃষ্টিতে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে জল জমে প্রচণ্ড অসুবিধে হয় বলে জানাচ্ছেন নার্স থেকে কর্মী সকলেই। পরিস্থিতির কথা জানিয়ে গত শুক্রবার বিডিওকে চিঠি দিয়েছেন হাসপাতাল সুপার অমলকৃষ্ণ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘সামনের বর্ষা মরসুমের কথা ভেবে নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে চিন্তায় রয়েছি। মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিককেও পরিস্থিতির কথা জানানো হয়েছে।’’

Advertisement

৩০০ শয্যার ওই মহকুমা হাসপাতালে রোজ গড়ে চারশোর উপর রোগী ভর্তি থাকেন। হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোজ অন্তত তিন শতাধিক মানুষ চিকিৎসা করাতে আসেন। তাঁরা প্রয়োজনে পানীয় জলটুকুও পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। জলের বোতল কেনার সামর্থ নেই এমন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের রাস্তার হস্তচালিত কলের আয়রনযুক্ত জলের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। শৌচকর্মের ব্যবস্থা না থাকায় দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগীর আত্মীয়রা অসুবিধের সম্মুখীন হচ্ছেন। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে থাকা বড় জলাশয়টিও দীর্ঘ সংস্কারের অভাবে দূষিত হয়ে পড়েছে। তাছাড়া হাসপাতাল চত্বরের মধ্যে গজিয়ে ওঠা দোকান থেকে নোংরা জল এবং বর্জ ওই জলাশয়ে জমে দূষণ ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন