রোগী মৃত্যুতে নালিশ, বিক্ষোভ

চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ মানতে চাননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওই প্রসূতির চিকিত্সা করেছেন ইসলামপুর হাসপাতালের চিকিত্সক নিখিলচন্দ্র ভক্ত। তিনি বলেন, ‘‘রোগী রাত পর্যন্ত সুস্থই ছিলেন। আমি রাতেও দেখে গিয়েছিলাম।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইসলামপুর শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৭ ০৩:৩১
Share:

প্রসূতির মৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা হাসপাতালে।—প্রতীকী চিত্র।

প্রসূতির মৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল ইসলামপুর হাসপাতালে। রবিবার সকালের ঘটনা। মৃতের নাম সাহেবা বেগম (২২)। তাঁর বাড়ি ইসলামপুর থানার কসাইবস্তি এলাকাতে।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে প্রসব বেদনা নিয়ে ইসলামপুর হাসপাতালে ভর্তি হন কসাইবস্তির বাসিন্দা সাহেবা বেগম। শনিবার ভোরে অস্ত্রোপচারের পর এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। রবিবার ভোরে হঠাৎ তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এ দিন সকালে মৃত্যু হয় সাহেবার। এর পরই চিকিত্সার গাফিলতির অভিযোগ তুলে রোগীর আত্মীয়েরা হাসপাতালে চড়াও হন বলে অভিযোগ।

মৃতের পরিবারের দাবি, প্রসবের পর চিকিত্সক জানিয়েছিলেন কোনও সমস্যা নেই। হঠাৎ করে রবিবার ভোর থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন সােহবা। এই ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন মৃতার পরিবার। মৃতার স্বামী জাগির হুসেন বলেন, ‘‘হাসপাতালে পরিষেবা পাব বলেই নিয়ে এসেছিলাম। প্রসবের পর চিকিৎসা ঠিক মতো না হওয়ায় এত বড় ক্ষতি হয়ে গেল।’’

Advertisement

যদিও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ মানতে চাননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওই প্রসূতির চিকিত্সা করেছেন ইসলামপুর হাসপাতালের চিকিত্সক নিখিলচন্দ্র ভক্ত। তিনি বলেন, ‘‘রোগী রাত পর্যন্ত সুস্থই ছিলেন। আমি রাতেও দেখে গিয়েছিলাম। ভোর পাঁচটা নাগাদ তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় আমাকে খবর দেওয়া হয়। ভেন্টিলেশনে দেওয়ার পরিকল্পনা হচ্ছিল। আমাদের দিক থেকে প্রচেষ্টার ত্রুটি ছিল না।’’

গণ্ডগোলের খবর পেয়ে ইসলামপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। অভিযোগ, বিক্ষোভ চলাকালীন হাসপাতালে ঢোকার সময় এক আয়াকে মারধর করতে যান বিক্ষোভকারীরা। ওই আয়াকে উদ্ধার করে থানাতে নিয়ে যায় পুলিশ। খবর পেয়ে হাসপাতালে যান স্থানীয় কাউন্সিলার। হাসপাতালের সুপার নারায়ণ মৃধা বলেন, ‘‘হাসপাতালের চিকিত্সকরা তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি। তবে প্রসব জনিত কারণে ওই রোগীর মৃত্যু হয়নি।’’ সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসলামপুর থানার আইসি সুকুমার ঘোষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন