সতেরো দিন পরে আশার আলো। রেল জানাচ্ছে, আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করতে পারে বন্যাবিধ্বস্ত পথে। কিন্তু ততদিনে ক্ষতি প্রায় ১০০ কোটি চুঁয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে রেলই।
তবে এই সতেরো দিনে ক্ষতি হয়েছে ৭৪ কোটি টাকারও বেশি। ৪ লক্ষেরও বেশি যাত্রীকে টিকিটের দাম ফিরিয়ে দিতে হয়েছে। বাতিল হয়েছে দেড়শোরও বেশি ট্রেন। বিহারের তেলটায় রেল সেতুর অ্যাপ্রোচ রাস্তা বন্যার জলে ধুয়ে যাওয়ায় গত ১৩ অগস্ট থেকে রেল যোগাযোগ বিপর্যস্ত এনজেপি ও মালদহের মধ্যে। মালগাড়ি থেকে প্যাসেঞ্জার ট্রেন সবই বাতিল হয়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রেলের ক্ষতি।
৩ তারিখ রেল চালু হতে হতে ক্ষতির বহর প্রায় একশো কোটি ছুঁয়ে ফেলতে পারে বলে দাবি। মঙ্গলবার থেকেই তেলটা সেতু দিয়ে মালগাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে। রেল জানিয়েছে, প্রথম কয়েকদিন মালগাড়ি চালানোর পরে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করবে।
সেতু নীচের মাটি বন্যায় ধুয়ে যাওয়ায় উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির সঙ্গে দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে রেল যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। তার জেরেই লোকসানের বহর বেড়েই চলছে। রেলের তরফে ক্ষতির সমীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী যাত্রী সংরক্ষণেই ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৪৮ কোটি টাকা। পণ্য বুকিংয়ে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৭ কোটি। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক প্রণবজ্যোতি শর্মা বলেন, ‘‘প্রথম ক’দিন মালগাড়ি চালানো হবে। সারা দেশ জুড়ে বিভিন্ন স্টেশনে পণ্যবাহী রেক দাঁড়িয়ে রয়েছে। মালগাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হলে যাত্রীবাহী ট্রেনও চলবে।’’