সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চালু হচ্ছে ইন্ডোর বিভাগ

তিন মাস আগে নির্মাণকাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। অথচ চিকিত্সকের অভাবে এখনও পর্যন্ত চালুই হয়নি রায়গঞ্জের সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের ইন্ডোর বিভাগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:৪২
Share:

তৈরি হচ্ছে হাসপাতাল।—নিজস্ব চিত্র

তিন মাস আগে নির্মাণকাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। অথচ চিকিত্সকের অভাবে এখনও পর্যন্ত চালুই হয়নি রায়গঞ্জের সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের ইন্ডোর বিভাগ। এই পরিস্থতিতে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের চারটি ওয়ার্ড তুলে দিয়ে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের ইন্ডোর বিভাগ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতর। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই জেলা হাসপাতালের পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ড এবং পুরুষ ও মহিলা শল্য ওয়ার্ড সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে ওই হাসপাতালের ইন্ডোর বিভাগ চালু করা হবে। তাঁর দাবি, ‘‘রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর পর্যাপ্ত চিকিত্সক নিয়োগ করলেই সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালটির সব ওয়ার্ড চালু করা হবে।’’

Advertisement

বিধানসভা নির্বাচনের মুখে গত ফেব্রুয়ারি মাসে নির্মীয়মাণ ১০ তলার ওই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালটির উদ্বোধন করে দেয় স্বাস্থ্য দফতর। ১০৬ কোটি টাকা খরচে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল চত্বরের আড়াই একর জমিতেই তৈরি হচ্ছে ওই হাসপাতাল। এরপর গত অগস্ট মাস পর্যন্ত নয়া ওই হাসপাতালে জেলা হাসপাতালের একাধিক বহির্বিভাগ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনমাস আগে নির্মাণকাজও শেষ হয়ে গিয়েছে ওই হাসপাতালের। চিকিত্সকের অভাবে এখনও পর্যন্ত ইন্ডোর বিভাগ চালু করতে পারেনি স্বাস্থ্য দফতর।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে ৪৫ জন চিকিত্সক থাকলেও পৃথকভাবে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের ইন্ডোর বিভাগ চালু করতে আরও ৪০ জন চিকিত্সকের প্রয়োজন। জেলা হাসপাতালের পুরুষ ও মহিলাদের মেডিসিন ও শল্য ওয়ার্ডে গড়ে ৬০টি করে শয্যা রয়েছে। মাঝেমধ্যেই শয্যার অভাবে অনেক রোগীকে ওই ওয়ার্ডগুলির মেঝেতে শুয়ে চিকিত্সা পরিষেবা নিতে হয়। এতে রোগীদের যেমন হয়রানি বাড়ে, তেমনই ওয়ার্ডগুলিতে রোগীদের ভিড়ের কারণে চিকিত্সকদেরও পরিষেবা দিতে সমস্যা হয়।

Advertisement

তাই ওই ওয়ার্ডগুলি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে সরিয়ে নেওয়া হলে একেকটি ওয়ার্ডে শয্যার সংখ্যা প্রায় দ্বিগুন হবে। এতে রোগীদের যেমন হয়রানি কমবে তেমনই আধুনিক চিকিত্সা পরিকাঠামোয় রোগীদের উন্নত চিকিত্সা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে বলে স্বাস্থ্য দফতরের দাবি।

জেলা হাসপাতালের সুপার গৌতম মণ্ডল বলেন, ‘‘জেলা হাসপাতালের পুরুষ ও মহিলাদের মেডিসিন ও শল্য ওয়ার্ডে শয্যার অভাবে মাঝেমধ্যেই রোগীরা মেঝেতে শুয়ে চিকিত্সা পরিষেবা নিতে বাধ্য হন। তাই ওই চারটি ওয়ার্ড সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে স্থানান্তর হলে রোগীরা সবদিক থেকেই উন্নত পরিষেবা পাবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন