চা-বাগানে শিক্ষক ঘাটতি মেটাতে উদ্যোগ

জলপাইগুড়ি জেলায় ৮৯টি ব়ড় চা বাগান রয়েছে। চা বাগানের ভিতরে একাধিক প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, চা বলয়ে প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা প্রায় বারোশো। 

Advertisement

অনির্বাণ রায়

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৮ ০২:১৯
Share:

জলপাইগুড়ি জেলায় ৮৯টি ব়ড় চা বাগান রয়েছে। —ফাইল চিত্র।

বামনডাঙা টন্ডু চা বাগানে গিয়েছিলেন জেলাশাসক। শ্রমিকরা অভিযোগ জানান, প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা কম। চা বাগানের দু’প্রান্তে দু’টি স্কুল। তার মধ্যে একটিতে পড়ুয়া বেশি থাকলেও শিক্ষকের সংখ্যা কম। জেলাশাসক নির্দেশ দেন, যত দ্রুত সম্ভব লাগোয়া যে কোনও স্কুল যেখানে শিক্ষকের সংখ্যা বেশি, সেখান থেকে শিক্ষক পাঠাতে হবে চা বাগানের স্কুলে। এক সপ্তাহের মধ্যে সেই বাগানের স্কুলের শিক্ষক ঘাটতি পূরণ হয়। সেই মডেলেই জলপাইগুড়ি জেলার চা বাগানের সব স্কুলের শিক্ষক ঘাটতি পূরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। সেই কাজও শুরু হয়েছে।

Advertisement

জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শিল্পা গৌরীসারিয়া বলেন, “প্রশাসনের তরফে নিয়ম করে বিভিন্ন চা বাগানে যাওয়া হচ্ছে। বাগানের শ্রমিকদের সঙ্গেও কথা বলা হয়। তাতেই নানা বিষয় উঠে আসছে। তার মধ্যে চা বাগানের স্কুলগুলির পরিকাঠামো সম্পর্কেও জানা যাচ্ছে।”

জলপাইগুড়ি জেলায় ৮৯টি ব়ড় চা বাগান রয়েছে। চা বাগানের ভিতরে একাধিক প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, চা বলয়ে প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা প্রায় বারোশো।

Advertisement

তার মধ্যে চা বাগানের ভিতরে এবং কাছাকাছি স্কুলের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিনশো। এর মধ্যে ষাট শতাংশ স্কুলেই প্রয়োজনীয় শিক্ষক নেই বলে অভিযোগ। এমন স্কুল রয়েছে যেখানে শিক্ষক বা শিক্ষিকার সংখ্যা মাত্র এক। প্রশাসন খোঁজ নিয়ে জেনেছে, কাগজে কলমে স্কুলে বেশি সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন। কিন্তু তাঁদের অনেকে উপর মহলে প্রভাব খাটিয়ে সাময়িক বদলি করে বাড়ির তাছে অথবা সুবিধেজনক কোনও স্কুলে বদলি নিয়েছেন। এর ফলে চা বাগানের স্কুলে পঠনপাঠন লাটে উঠেছে। সেই শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে।

সম্প্রতি জেলাশাসকের দফতর থেকে জলপাইগুড়ি জেলার সব প্রাথমিক স্কুলের তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে রাতারাতি তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কোন স্কুলে কতজন শিক্ষক রয়েছেন, কত জন শিক্ষক প্রয়োজন, কোন কোন স্কুলে উদ্বৃত্ত শিক্ষক রয়েছেন —সব তথ্য চাওয়া হয়েছে। চা বাগানের স্কুলগুলির ক্ষেত্রে শিক্ষকের ঘাটতি মেটানোর নির্দেশ নবান্ন থেকে এসেছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

আগামী মাসের মধ্যেই ঘাটতি মিটিয়ে ফেলা সম্ভব হবে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন