২৪ ঘণ্টা ধরে ‘চিকিৎসাহীন’

মাথায় আঘাত। তবু সিটি স্ক্যান করা হয়নি। বাড়ির লোক বারবার বলার পরে সিটি স্ক্যান করা হলে দেখা যায়, রক্ত জমে রয়েছে। তারপরেও ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু ঠিক মতো চিকিৎসা শুরু হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৭ ০২:২৫
Share:

মাথায় আঘাত। তবু সিটি স্ক্যান করা হয়নি। বাড়ির লোক বারবার বলার পরে সিটি স্ক্যান করা হলে দেখা যায়, রক্ত জমে রয়েছে। তারপরেও ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু ঠিক মতো চিকিৎসা শুরু হয়নি।

Advertisement

রতন বর্মন নামে এক তরুণের বাড়ির লোক এই অভিযোগ তুলেছেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে নৌকাঘাট এলাকায় ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কায় বছর ১৭-র রতন গুরুতর জখম হন। তাঁকে এলাকার লোকজন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। বৃহস্পতিবার তাঁর পরিবারের লোকেরা অভিযোগ তোলেন, রাতে জুনিয়র চিকিৎসকেরা রতনকে দেখে ইঞ্জেকশন এবং স্যালাইন দিয়েছেন এই পর্যন্তই।

রতনের বাবা শিবকান্ত বর্মন পেশায় রিকশা চালক। বাড়ি ভালবাসা মোড় এলাকার মমতা পাড়ায়। তিনি জানান, মাথায় ব্যথা হচ্ছে বলে জানালে জুনিয়র চিকিৎসকেরা জানান, নিউরোলজির চিকিৎসক শনিবার এবং মঙ্গলবার আসেন। তিনি এসে দেখবেন বলে জানানোর পরেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন শিবকান্তবাবু এবং পরিবারের লোকেরা। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের ডেপুটি সুপার বিজয় থাপা বলেন, ‘‘নিউরোলজির সার্জেন এক জন রয়েছেন। তাও তিনি সাধারণ শল্য চিকিৎসক হিসাবেই কাজ করেন। তাঁর উপরেও চাপ পড়ছে। তবে ওই রোগীর চিকিৎসার বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি। গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।’’

Advertisement

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রতন নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেন। কাজ সেরে ওই রাতে সাইকেল করে ফিরছিল মিলনপল্লি এলাকায়। সেখানে রাতে এক জায়গায় পাহারাদারের কাজও করেন তিনি। ট্রাক ধাক্কা দিলে তাঁকে প্রথমে শিলিগুড়ি হাসপাতালে এবং সেখান থেকে মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়। শয্যা না-মেলায় মেডিক্যালে ওয়ার্ডের বাইরে করিডরে মেঝেতে তাঁকে থাকতে হচ্ছে বলে অভিযোগ।

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার মৈত্রেয়ী কর বলেন, ‘‘রতন বর্মনের চিকিৎসার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। হাসপাতালের এক শল্য চিকিৎসকেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’’ শয্যা ফাঁকা থাকলে যাতে তাঁকে দেওয়া হয় সে ব্যাপারেও তিনি জানিয়েছেন। নিউরোলজির চিকিৎসক ছুটিতে রয়েছেন কি না, খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সুপার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন