কুশমণ্ডি কাণ্ডে জেল হেফাজতে অভিযুক্তরা

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে দেহবন্ধের ঘাটপাড়া এলাকায় ওই তরুণীর উপর অত্যাচার করে একটি সেতুর নীচে জমিতে ফেলে পালায় দুষ্কৃতীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৮ ০২:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

কুশমণ্ডির গণধর্ষণ কাণ্ডে ধৃত দুই অভিযুক্ত রামপ্রবেশ শর্মা ও আন্ধারু বর্মনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। মঙ্গলবার পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষে তাদের বুনিয়াদপুরের গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। গ্রেফতারের পর টানা ১৪ দিন তারা পুলিশ হেফাজতে ছিল। তাই এ দিন আর নতুন করে তাদের নিজেদের হেফাজতে চেয়ে পুলিশ আদালতে আবেদন করেনি বলে সরকারি আইনজীবী প্রতুল মৈত্র জানান। অভিযুক্তদের আইনজীবী মণীন্দ্রনাথ মজুমদার অবশ্য অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন করে দাবি করেন, দেহাবন্ধে ওই তরুণীকে নির্যাতনে তারা যুক্ত ছিলেন না। ওই মামলায় পুলিশ তাদের ফাঁসিয়েছে। মহকুমা আদালতের বিচারক বীরেন প্রামাণিক জামিনের আবেদন নাকচ করে ওই দু’জনের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

Advertisement

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে দেহবন্ধের ঘাটপাড়া এলাকায় ওই তরুণীর উপর অত্যাচার করে একটি সেতুর নীচে জমিতে ফেলে পালায় দুষ্কৃতীরা। প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে সেখানেই সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে ছিলেন নির্যাতিতা। ১৮ ফেরুয়ারি বিকেলে তাঁকে উদ্ধার করে কুশমণ্ডি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জ্ঞান ফেরার পর নির্যাতিতার জবানবন্দি অনুযায়ী প্রথমে রামপ্রবেশ ও পরে আন্ধারুকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশের দাবি। এরপর আদালত থেকে ওই দু’জনকে দু’দফায় টানা ১৪ দিন নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ তদন্ত করে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ওয়াংজেন ভুটিয়া জানান, যুবতী নির্যাতনের ঘটনায় ওই দুজন যুক্ত ছিল। শীঘ্রই আদালতে চার্জশিট পেশ করা হবে।

এ দিন কুশমণ্ডির ঘটনার প্রতিবাদে জেলা কংগ্রেসের বিক্ষোভ আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরীর। তিনি আসতে না পারায় কংগ্রেসের ওই কর্মসূচি বাতিল করে দেওয়া হয়।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন