উত্তরে পুরভোট পাহাড়

ভোটে তপ্ত নতুন জেলা

বিধানসভা ভোটে এক দিকে ছিলেন হরকা বাহাদুর এবং তৃণমূল। অন্য দিকে মোর্চা। এ বার সকলেই আলাদা। ত্রিমুখী এই লড়াইয়ে ক্রমেই তেতে উঠতে নতুন জেলা সদর কালিম্পং।

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু

কালিম্পং শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৭ ০২:৫২
Share:

প্রচারে: পুরভোট আসন্ন। জনসংযোগে নেমেছেন হরকা বাহাদুর ছেত্রী। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

বিধানসভা ভোটে এক দিকে ছিলেন হরকা বাহাদুর এবং তৃণমূল। অন্য দিকে মোর্চা। এ বার সকলেই আলাদা। ত্রিমুখী এই লড়াইয়ে ক্রমেই তেতে উঠতে নতুন জেলা সদর কালিম্পং।

Advertisement

জেলা সদর? কালিম্পঙের জন্ম হয়েছে এক মাসও কাটেনি। এখনও এখানকার মানুষের সরগর হয়নি নিজেদের নতুন পরিচয়। প্রচারে নেমে সেটাই মনে করিয়ে দিচ্ছেন তৃণমূলের নেতারা। এ দিন পাহাড়ি শহরে এসেছিলেন রাজ্যের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। দলীয় কার্যালয়ে কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন সকালে। সেখানে আবার মহিলাদের সংখ্যাই বেশি। তার পরে নেমে পড়েন প্রচারে। ঘরে, দোকানে ঘুরছেন আর হাত তুলে বলছেন, ‘‘ভোটটা তৃণমূলকে দেবেন কিন্তু।’’ মনে করিয়ে দিচ্ছেন, তৃণমূল আমলেই তো জেলা হয়েছে কালিম্পং। এখানকার বাসিন্দাদের ভাবাবেগের মর্যাদা দিয়েছেন মমতা। বলছেন, ‘‘এটা সবাইকে গিয়ে বলুন। দিদির মান রাখুন।’’

শশীর সঙ্গে মহিলাদের মিছিল। দোকানবাজার থেকে উড়ে আসছে হাসি ও হাত নাড়া। উড়ে আসছে শুভেচ্ছেবার্তা। আর তাতেই ক্রমে মেঘ ঘনাচ্ছে মোর্চার আকাশে।

Advertisement

শশী পাঁজা। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

পাহাড়ের তিন বিধানসভা আসনের মধ্যে এই শহরেই সব থেকে কমজোরি বিমল গুরুঙ্গের দল। হরকা হেরেছিলেন ঠিকই, তবে মোটে ১১ হাজার ভোটে। এ বারে তাই জমি ছাড়তে চাইছেন না গুরুঙ্গ। এর আগে ক্যাম্প করে পড়ে ছিলেন কালিম্পঙে। এ দিন বিকেলে শহরে দুটি জনসভা করেন, একটি চার নম্বর ওয়ার্ডের এসইউএসআই স্কুলের ক্যাম্পাসে, আর একটি কুড়ি নম্বর ওয়ার্ডের লিচি গ্রাউন্ডে।

বেরিয়ে পড়েছেন হরকাও। তিনি বলেন, ‘‘গোর্খাল্যান্ডের কথা বলে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে মোর্চা। কাজের কাজ কিছুই করতে পারেনি। উন্নয়ন না হলে চলবে কেন?’’

কিন্তু হরকা আর তৃণমূল আলাদা লড়লে তো বিরোধী ভোট ভাগ হয়ে যাবে। তাতে কি মোর্চার লাভ নয়? তৃণমূল এই কথাকে বিশেষ পাত্তা দিতে নারাজ। হরকাও এড়িয়ে যাচ্ছেন। শুধু মোর্চার লোকজন মুচকি হাসছে।

শেষ হাসি কে হাসবে? এর উত্তরেরই অপেক্ষায় কালিম্পং।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন