সম্প্রীতির পুজো কুলকুলিহাটে

তাজ খান, জগজিৎ সিংহ, মাইকেল দাস বা কেষ্ট সাহা ওঁদের প্রত্যেকের ধর্ম, জাতি ও বর্ণ আলাদা। জাতি, বর্ণ ও ধর্মের ভেদাভেদকে দূরে ঠেলে ওঁরা গড়ে তুলেছেন সম্প্রীতির এক অনন্য নজির। ভুটান সীমান্ত ঘেঁষা কুমারগ্রাম ব্লকের কুলকুলিহাটের আজাদ হিন্দ ক্লাবে দেবী দুর্গা আবির্ভূত হন সম্প্রীতির দেবী রূপে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কুমারগ্রাম শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৬ ০২:০৮
Share:

তাজ খান, জগজিৎ সিংহ, মাইকেল দাস বা কেষ্ট সাহা ওঁদের প্রত্যেকের ধর্ম, জাতি ও বর্ণ আলাদা। জাতি, বর্ণ ও ধর্মের ভেদাভেদকে দূরে ঠেলে ওঁরা গড়ে তুলেছেন সম্প্রীতির এক অনন্য নজির। ভুটান সীমান্ত ঘেঁষা কুমারগ্রাম ব্লকের কুলকুলিহাটের আজাদ হিন্দ ক্লাবে দেবী দুর্গা আবির্ভূত হন সম্প্রীতির দেবী রূপে। চাঁদা আদায় থেকে শুরু করে পুজার আয়োজনে সামিল হন সর্ব ধর্মের মানুষ। নিজস্ব মন্দিরে পুজা হয়। স্থানীয় শিল্পীরা প্রতিমা গড়েন। স্থানীয় বাসিন্দা তথা তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা কমিটির সদস্য প্রেমানন্দ দাসের কথায়, সম্প্রীতিই মূল সুর। পুজো কমিটির সম্পাদক কেষ্ট সাহা বলেন, ১৯৩৮ সালে এই পুজার সূচনা করেন হিরালাল সাহা, নিতাই দেবনাথ, শিবু ঘোষ সহ এলাকার বিশিষ্ট জনেরা। সে সময় থেকে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত মানুষ আয়োজনে সামিল হন। নতুন জামাও কেনেন সবাই। ৬৫ বছর ধরে এটাই ঐতিহ্য। স্থানীয় বধূ পারভিন খান বলেন, “আমরা সবাই পুজোর আয়োজনেও সামিল হই।”

Advertisement

কুমারগ্রামের বিধায়ক জেমস কুজুর বলেন, “পুজোটি অবশ্যই উল্লেখযোগ্য। ওঁদের পুজোয় যাওয়ার ইচ্ছে থাকল।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন