landslide

রাস্তা যেন নদী! বৃষ্টিতে ধসের জেরে গ্যাংটক থেকে বন্ধ হয়ে গেল উত্তর সিকিমের যোগাযোগ

বৃহস্পতিবার রাতে চুংথাংয়ের কাছে পেগংয়ে ওই ধস নেমেছে। এর ফলে লাচুং, লাচেন এবং ইয়ুমথাংয়ের সঙ্গে সিকিমের অন্যান্য এলাকার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২৩ ১৫:৩৯
Share:

উত্তর সিকিমের রাস্তায় ধস। — নিজস্ব চিত্র।

প্রবল বৃষ্টিতে ধস নামল উত্তর সিকিমের রাস্তাায়। সিকিম প্রশাসন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে চুংথাংয়ের কাছে পেগংয়ে ওই ধস নেমেছে। এর ফলে লাচুং, লাচেন এবং ইয়ুমথাংয়ের সঙ্গে সিকিমের অন্যান্য এলাকার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। রাস্তার উপর দিয়ে প্রবল গতিতে বইছে ঝর্নার জল। এমন পরিস্থিতিতে উত্তর সিকিমে বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। আটকে বহু গাড়ি। জাতীয় সড়ক থেকে ধস সরিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা চলছে। এমন আবহে শুক্রবার উত্তর সিকিমে যাওয়ার জন্য পর্যটকদের অনুমোদন দেওয়া হয়নি।

Advertisement

সিকিম আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘উত্তর সিকিমের বিভিন্ন এলাকা ধসে বিপর্যস্ত। এমন বৃষ্টি হচ্ছে যে, আগামী পাঁচ দিন পরিস্থিতি খুব একটা স্বাভাবিক হবে না। বিশেষ করে উত্তর সিকিমে অতিভারী বর্ষণ হবে। উত্তরবঙ্গেও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। উত্তরবঙ্গ এবং সংলগ্ন সিকিম জুড়ে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা রয়েছে, যা উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। তার প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে এই অঞ্চলে জলীয় বাষ্প ঢুকছে। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।’’

উত্তর সিকিমের মংগন থেকে লাচুন এবং ইয়ুমথাং যাওয়ার রাস্তায় টুং এলাকায় ধস নেমেছে। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজ়ম ডেভেলপমেন্টের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘উত্তর সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বন্ধ। বিভিন্ন এলাকা ধসের কবলে। আমরা খোঁজ নিচ্ছি পর্যটকদের কী পরিস্থিতি বা কোথায় কত জন পর্যটক আটকে রয়েছেন।’’ সেনার তরফে জানানো হয়েছে, উত্তর সিকিমে ধস সরানোর কাজ শুরু হয়েছে।

Advertisement

কালিম্পঙে রাতভর বৃষ্টির ফলে তিস্তা এবং রংফু নদীর জলস্তর বেড়েছে। ওই নদীগুলিতে লাল সতর্কতা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। কালিম্পঙের জেলাশাসক আর বিমলা বলেন, ‘‘তিস্তা-সহ বেশ কয়েকটি পাহাড়ি নদীর জলস্তর কাল রাত থেকে বেড়েছে। ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা থেকে স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। আমরা সতর্ক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন