প্রতিবাদ: বামেদের এসজেডিএ অভিযানে ধস্তাধস্তি। নিজস্ব চিত্র
এসজেডিএ দুর্নীতি মামলায় সংস্থার প্রাক্তন চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্যকে সামনে রেখেই ফের আন্দোলনে নামল সিপিএম।
শুক্রবার বিকালে মিছিল করে এসজেডিএ দফতরের সামনে গিয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় সিপিএম। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তিও হয়। শেষে দফতরের সামনেই বিক্ষোভ সমাবেশ করেন দলের নেতারা। সিবিআই তদন্তের দাবি ও একাধিক রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনার দাবি তোলেন শহরের মেয়র অশোকবাবুরা। বাম আমলে তিনি দীর্ঘদিন সংস্থার চেয়ারম্যান ছিলেন।
অশোকবাবু বলেন, ‘‘দুর্নীতিতে জড়িত শাসক দলের লোকেদের আড়াল করা হচ্ছে। জনগণের কোটি কোটি টাকার হদিশ নেই। আমরা সিবিআই তদন্ত চাই। মানুষের টাকা উদ্ধার করতেই হবে।’’ তিনি জানান, ২০১১ সালের পর থেকে এসজেডিএ নিয়ে ক্যাগের রিপোর্ট প্রকাশ করা হচ্ছে না। ২০১৩ সালে দুর্নীতি সামনে আসতেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে সমীক্ষা করানো হলেই তা প্রকাশ্যে আসেনি। কয়েকজন গ্রেফতার হলেও তদন্তে কোনও অগ্রগতি হয়নি। দলের জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকারও দ্রুত দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব হন।
মহানন্দা সেতু লাগোয়া মোড় থেকে বিকেলে মিছিল শুরু হয় সিপিএমের। হিলকার্ট রোড, জংশন হয়ে মিছিল এসজেডিএ দফতরে পৌঁছায়। সেখানে বিরাট পুলিশ বাহিনী ব্যারিকেড করে মিছিল আটকাতেই বাম কর্মী, সমর্থকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ২০১৩ সালে এসজেডিএ দুর্নীতি সামনে আসে। সংস্থার সিইও গোদালা কিরণ কুমার-সহ ১৩ জন অফিসার, ঠিকাদার গ্রেফতার হয়। কাজ শেষ না করেই প্রকল্পের টাকা মেটানো হচ্ছিল। তেমনিই, বেশি টাকার টেন্ডার এক সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ ছিল। সিআইডি তদন্তে ৮০ কোটি টাকার দুর্নীতি সামনে আসে। মামলায় চার্জশিটও দেওয়া হয়। সম্প্রতি ইডিও মামলার তদন্ত করছে। বৃহস্পতিবারই জামিনে মুক্ত গোদলা কিরণ কুমারের কলকাতায় বাড়িতে তল্লাশি হয়েছে।
বামেদের আন্দোলন প্রসঙ্গে এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সিপিএম প্রাসঙ্গিক হওয়ার চেষ্টা করলেও লাভ নেই। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই অভিযোগ দায়ের, তদন্ত সব হয়েছে। বিষয়টি এখন আদালতের বিচারধীন। কেউ দোষী হলে শাস্তি পাবেনই। অশোকবাবুদের এ সব নিয়ে ভাবতে হবে না।’’