চিলাপাতার জঙ্গলে ছাড়া হচ্ছে চিতাবাঘকে। রবিবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
ডুয়ার্সের হাসিমারা বায়ুসেনার ছাউনিতে পাতা ইলেকট্রিক খাঁচাতে ফের আরও একটি পূর্ণ বয়স্ক চিতাবাঘ ধরা পড়ল। রবিরার সকাল পাঁচটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। এই নিয়ে গত দুই দিনে দু’টি চিতাবাঘ কে খাঁচা বন্দি করতে সামর্থ হল বন দফতর। গত শনিবার একটি পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ চিতাবাঘ ওই খাঁচায় ধরা পড়ে। সেটিকে ওই দিন সকালেই চিলাপাতার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। বনদফতর সুত্র জানা গেছে রবিবার যেটি খাঁচাবন্দি হয়েছে সেটি একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী চিতাবাঘ। সেটিকে এদিন চিলাপাতার জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বনদফতর সুত্রে জানা গেছে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সহ এই ধরনের ইলেকট্রিক খাঁচা সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ধরার কাজে অনেক আগে থেকেই ব্যাবহার করা হচ্ছিল।উত্তর বঙ্গে চিতাবাঘ ধরতে এই ইলেকট্রিক খাঁচার ব্যবহার এই প্রথম।এই খাঁচা ব্যবহারের আগে বনকর্মীদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। এই খাঁচার জিএসএম সিম সহ ইলেকট্রিক সার্কিট লাগানো থাকায় চিতাবাঘ খাঁচায় ধরা পরার মুহূর্তের মধ্যেই বনদফতরের নির্দিষ্ট দুটি মোবাইল ফোনে মেসেজ চলে যায়। শনিবারের মত এদিনও মোবাইল ফোনে মেসেজ পেয়ে জলদাপাড়া বন্যপ্রাণ বিভাগের কর্মীরা দ্রুত চিতা বাঘটিকে উদ্ধার করেন। ডাব্লিউ ডাব্লিউ এফের সহযোগিতায় সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে জিএসএম ব্যবস্থা যুক্ত দুটি খাঁচা আনা হয়েছে।
বনকর্তাদের কথায়, বেশকিছুদিন ধরে হাসিমারা বায়ূসেনা ছাউনি এলাকায় চিতা বাঘ আনাগোনা শুরু হয়। সেনাছাউনির আশেপাশে কখনো একটি আবার কখনো দুটি চিতাবাঘ কে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়।এই ঘটনায় বায়ূ সেনা ছাউনির জোয়ানদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।এর পরেই গরুমারা জাতীয় উদ্যান থেকে একটি ইলেকট্রিক খাঁচা এনে ছাগলের টোপ দিয়ে বায়ুসেনা ছাউনির সংলগ্ন মাঠে সেটিকে পাতা হয়।
জলদাপাড়ার বন্যপ্রাণ সহায়ক বিমল দেবনাথ জানান, “হাসিমারা বায়ূসেনার ছাউনিতে চিতাবাঘের আনাগোনা শুরু হওয়ার খবর পেয়ে গত বৃহস্পতিবার ওই খাঁচা পাতা হয়।শনিবার সকালে একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ চিতা বাঘ খাঁচাবন্দি হয় ওই খাঁচায়। ওখানে আরও চিতাবাঘ রয়েছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়ে ফের ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচা পাতি। তার ফলও মিলল। রবিবার সকালে ফের আরও একটি চিতাবাঘ ওই খাঁচায় ধরা পড়ল।’’ বিমলবাবু জানান, আরও কয়েকদিন ওই ছেনা ছাউনিতে খাঁচা পেতে রাখা হবে।