পরিষেবা পেলে ঘরে পৌঁছবে চিঠি

মার্চ জারি হয়েছে ওই নির্দেশিকা। তা হাতে পেতেই রোগীর তালিকা তৈরি করতে শুরু করেছে হাসপাতালগুলো। 

Advertisement

শুভঙ্কর চক্রবর্তী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৯ ০৫:১৫
Share:

—ফাইল চিত্র।

গত বছরের পয়লা মার্চ থেকে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যেসব রোগীরা যে কোনও স্তরের সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হয়ে নিখরচায় পরিষেবা পেয়েছেন তাঁদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীর স্বাক্ষর করা বিশেষ চিঠি। উত্তরবঙ্গের সমস্ত হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোয় এমনই নির্দেশ পাঠাল স্বাস্থ্য দফতর। ১ মার্চ জারি হয়েছে ওই নির্দেশিকা। তা হাতে পেতেই রোগীর তালিকা তৈরি করতে শুরু করেছে হাসপাতালগুলো।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নির্দেশিকার সঙ্গে কলকাতা থেকে পাঠানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর এক পাতার চিঠিও। প্রয়োজনে উপভোক্তাদের কাছে হাতে হাতে চিঠি পৌঁছনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। সাত দিনের মধ্যে ওই কাজের একটি রিপোর্ট স্বাস্থ্য দফতরে পাঠাতে বলা হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষদের। এই নির্দেশকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, এই নির্দেশ ভোটের আগে সরকারকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূলের প্রচারের কৌশল। যদিও তা মানতে চাননি তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী একজন উপভোক্তাকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাতেই পারেন। তাতে অন্য অর্থ খোঁজার যুক্তি নেই।’’

তৃণমূলের অভিযোগ, হাউজিং ফর অল, প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পে যারা সুবিধা পেয়েছে তাদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি। এমনকি প্রকল্পের উপভোক্তাদের বাড়িতে বিজেপির স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। উপভোক্তাদের সঙ্গে ছবি তুলে তা দলীয় প্রচারে তুলে ধরা হচ্ছে। তার পাল্টা হিসাবেই মু্খ্যমন্ত্রীর চিঠি পাঠানো হচ্ছে বলেই মনে করছেন তৃণমূল ও বিজেপি নেতাদের অনেকেই। জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘হতাশ হয়ে বিজেপি কিছু জায়গায় মিথ্যা প্রচার করার চেষ্টা করছে।’’ আর বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহার বক্তব্য, ‘‘রাজ্য সরকার কেন্দ্রের বহু প্রকল্প নিজেদের নামে চালাচ্ছে। তাই মানুষের কাছে আমরা সত্যিটা তুলে ধরছি।’’ দুই দলকেই কটাক্ষ করে সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ভোটের আগে চিঠি পাঠিয়ে, স্টিকার লাগিয়ে তাদের ভোট দেওয়ার জন্য উপভোক্তার উপর মানসিক চাপ তৈরি করছে তৃণমূল ও বিজেপি। এটা অনৈতিক।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন