টিফিনের টাকা জমিয়ে সাহায্য

অনেক ভেবে স্কুলের টিফিন খাওয়ার পয়সা থেকেই কিছুটা করে বাঁচিয়েছে সে। বেশ কয়েক বছর ধরে জমানো সেই টাকা দিয়েই জন্মদিনে দুঃস্থদের সাহায্য করল শহরের বাসিন্দা দশম শ্রেণির ছাত্রী শ্রেয়সী ঘোষ।

Advertisement

নিজস্ব  সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:৩৫
Share:

সামগ্রী: শিশুদের জন্য। নিজস্ব চিত্র

বাবা-মার কাছে শুনেছে দুঃস্থদের সাহায্য করার কথা। একই শিক্ষা পেয়েছে স্কুলেও। কিন্তু কীভাবে তা করা যায় ভাবছিল কিশোরীটি। রোজগারও নেই। তাই অনেক ভেবে স্কুলের টিফিন খাওয়ার পয়সা থেকেই কিছুটা করে বাঁচিয়েছে সে। বেশ কয়েক বছর ধরে জমানো সেই টাকা দিয়েই জন্মদিনে দুঃস্থদের সাহায্য করল শহরের বাসিন্দা দশম শ্রেণির ছাত্রী শ্রেয়সী ঘোষ।

Advertisement

মঙ্গলবার জন্মদিন ছিল শ্রেয়সীর। এ দিন সন্ধ্যায় নিজের বাড়িতে অনুষ্ঠান করে দুঃস্থদের সাহায্য করে শ্রেয়সী ও তার পরিবার। পরিবারের দাবি, শ্রেয়সীর জমানো টাকার পরিমাণ প্রায় চল্লিশ হাজার হয়েছিল। সেই দিয়েই কেনা হয়েছে নানা সামগ্রী। এ দিন যৌনপল্লির শিশুদের সঙ্গে জন্মদিন কাটায় শ্রেয়সী। কেক কাটার পরে তাদের হাতেই মশারি, কম্বল, খাতা-পেন তুলে দেয় ওই কিশোরী।

শ্রেয়সীর বাবা সতজিৎ ঘোষ পেশায় ঠিকাদার। মা শিল্পী ঘোষ শিক্ষিকা। আলিপুরদুয়ার নিউটাউন এলাকার বাসিন্দা তারা। সত্যজিৎবাবু বলেন, “দুপুরের টিফিন খাওয়ার জন্য কয়েক বছর ধরে টাকা দিতাম। কখনও কুড়ি কখনও তার চেয়ে বেশি। তার মধ্যে থেকেই মেয়ে জমিয়ে রাখত মাটির ভাঁড়ে।’’ এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবতী, পুরসভার চেয়ারম্যান আশিষ দত্তও।

Advertisement

শ্রেয়সী জানায় মা-বাবার কাছ থেকেই দুঃস্থদের পাশে দাঁড়ানোর শিক্ষা মিলেছে। তাই নিজের জন্মদিনে এ রকম কাজ করার ইচ্ছে হয়েছিল তার। এ দিন প্রায় বত্রিশ জন দুঃস্থ শিশুর হাতে নানা সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। গুজরাতে মারা যাওয়া শ্রমিক মধু সরকারের পরিবারের হাতেও এ দিন কিছু টাকা তুলে দেয় শ্রেয়সী। এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন শহরের অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বসু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন