রবিবার ছুটির দিনের দুপুর থেকে রাত অবধি শহরের বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় লোডশেডিং-র জেরে ভোগান্তিতে পোহালেন শিলিগুড়ির বাসিন্দারা। এ দিন শহরের বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং হয়েছে। বিশেষ করে দুপুরের পর থেকে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে সমস্যায় পড়েন বাসিন্দারা। শহরের বহু বাসিন্দাই বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির কলসেন্টারগুলিতে টেলিফোন করে খোঁজখবরও করেন। তাঁরা জানান, রবিবার সাধারণ অফিস ছাড়া কারখানা এবং বাজারঘাট বেশির ভাগই বন্ধ থাকে। তার পরেও এই ভাবে লোডশেডিং হল কেন তা বোঝা যায়নি। বিশেষ করে রাজ্যে বিদ্যুতের কোনও সরবরাহের খামতি নেই বলে বন্টন কোম্পানির কর্তারা দাবি করার পরেও এমন অবস্থা হচ্ছে কেন তা পরিস্কার নয়।
যদিও বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির কর্তারা দাবি করেছেন, সরবরাহের কোথাও কোনও খামতি ছিল না। ছুটির দিন হওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় মেরামতির কাজ হয়েছে। তা ছাড়া কয়েকটি জায়গায় ট্রান্সফর্মারের সমস্যা ছিল, সেগুলিও এদিন মেরামত করা হয়েছে। তবে কিছু জায়গায় লোডশেডিং হলেও তা বেশিক্ষণ কোনও জায়গায় স্থায়ী হয়নি। বন্টন কোম্পানির শিলিগুড়ির ডিভিশনাল ম্যানেজার বিদীপ রঞ্জন বর্মন বলেছেন, ‘‘স্থানীয়ভাবে কোথাও কোথাও কিছু সমস্যা হয়েছিল। শহরে সরবরাহের কিছু সমস্যা নেই।’’
বাসিন্দারা জানান, এদিন অরবিন্দপল্লি, হাকিমপাড়া, পূর্ব বিবেকানন্দপল্লি, বিদ্যাসাগরপল্লি, ঘোষপাড়া, স্টেশন ফিডার রোড, ডাবগ্রাম, সুভাষপল্লি, প্রধাননগর, গুরুঙ্গবস্তি, চম্পাসারি এলাকায় দফায় দফায় লোডশেডিং হয়েছে। সন্ধ্যার পর হিলকার্ট রোড, সেবক রোডের একটি অংশও অন্ধকারে কিছুক্ষণের জন্য ডুবে যায়। একে গরম, বৃষ্টি নেই। তার উপ লোডশেডিং-এ অনেকেই রাত অবধি পাড়ায় পাড়ায় রাস্তায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছে।
শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর সুজয় ঘটক বলেন, ‘‘বিদ্যুতের মাশুল, বিল বেড়েই চলছে। অথচ পরিষেবা সেই তুলনায় বাড়ছে না। বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি নেই বলা হলেও আদতে তা দেখা যাচ্ছে না। বাসিন্দাদের ভোগান্তি চলছেই।’’ আবার পুর এলাকার ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএমের কাউন্সিলর মুকুল সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘দুপুর থেকে দফায় দফায় লোডশেডিং হয়েছে। গরমে নাজেহাল হতে হয়েছে। এমন চললে তো আন্দোলনে নামতে হবে।’’
পুজোর কয়েক মাস আগে থেকেই এমন মেরামতির কাজ শুরু হওয়ায় লোডশেডিং হচ্ছে বলে দাবি করেছেন পুরসভা ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর নান্টু পাল। তিনি বলেন, ‘‘এটা সরবরাহের ঘাটতি নয়। পুজোর আগে প্রতি বছরই এমন সংস্কারের কাজে বন্টন কোম্পানি হাত দেয়। তবে খুব বেশি লোডশেডিং কোথাও হয়নি। আমরা বন্টন কোম্পানির কর্তাদের বলব, আগাম বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আগামী দিনে মেরামতের কাজ করতে।’’