রেশন নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে

কেন্দ্রের খাদ্য সুরক্ষা এবং রাজ্য সরকারের খাদ্যসাথী প্রকল্পে বরাদ্দ রেশন সামগ্রী গ্রাহকরা নিয়মিত পাচ্ছেন না। অনলাইনে সরকারি বরাদ্দের চাল ও আটা জেলায় ঢুকেও মাঝ পথে উধাও হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৫৬
Share:

কেন্দ্রের খাদ্য সুরক্ষা এবং রাজ্য সরকারের খাদ্যসাথী প্রকল্পে বরাদ্দ রেশন সামগ্রী গ্রাহকরা নিয়মিত পাচ্ছেন না। অনলাইনে সরকারি বরাদ্দের চাল ও আটা জেলায় ঢুকেও মাঝ পথে উধাও হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। অনিয়মিত সরবরাহ নিয়ে জেলা খাদ্য দফতরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় নড়ে বসেছেন জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ। জেলাশাসককে নালিশ করেছেন বালুরঘাটের বাম বিধায়ক বিশ্বনাথ চৌধুরী।

Advertisement

বিশ্বনাথবাবুর অভিযোগ, এক সপ্তাহের খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ বন্ধ থাকলে তা ফের পরের সপ্তাহে রেশন দোকান থেকে গ্রাহকদের দেওয়ার সরকারি নিয়ম রয়েছে। অথচ চলতি মাসের গত সপ্তাহে আটা দেওয়া হয়নি। মাস শেষ হতে চললেও বকেয়া আটা পাননি গ্রাহকরা। মহকুমা খাদ্য নিয়ামককে ফোন করে বিষয়টি জানিয়েও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ করে বিশ্বনাথবাবু দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসকের কাছে নালিশ করে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। জেলাশাসক সঞ্জয় বসু বলেন, ‘‘বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’

রেশন ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্পাদক গোপাল সরকার দাবি করেন, অনিয়মিত সরবরাহ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন ডিলারের দাবি, অনিয়মিত সরবরাহ নিয়ে নালিশ জানালে পর দিনই মহকুমা খাদ্য নিয়ামক তাদের রেশন দোকানে হানা দিয়ে নানা ধরনের ভুলত্রুটি ধরে হেনস্থা ও হয়রানি করেন। তাই ভয়ে অধিকাংশ রেশন ডিলার কর্তাদের ফরমান মুখ বুজে মেনে চলেন বলে দাবি করেছেন। এ দিন ওই অভিযোগের বিষয়ে জেলা খাদ্য দফতরের করণিক শুভঙ্কর সেন বলেন, ‘‘দফতরের আধিকারিকরা সব কিছু করেন। আমার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ঠিক নয়।’’

Advertisement

জেলা খাদ্য নিয়ামক অমরেন্দ্র রায়ের বক্তব্য, ‘‘গ্রাহকদের নিয়মিত খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ দেখতে নজরদারি দল গড়া হয়েছে।’’ অবশ্য কেন্দ্রীয় সরকারের খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে বরাদ্দ চাল গমের বরাদ্দ নিয়মিত হায়দরাবাদ থেকে অনলাইনে কলকাতার খাদ্যভবনে পৌঁছে যায়। জেলাওয়াড়ি বরাদ্দও প্রতি মাসে অনলাইনে জেলা সদরে চলে আসে।

কিন্তু তা সত্ত্বেও কুমারগঞ্জ, তপন, বালুরঘাট, বংশীহারি, গঙ্গারামপুর ব্লকগুলিতে হামেশা মাসের মধ্যে দু’সপ্তাহ খাদ্যসামগ্রী বিলিবণ্টন কেন হয় না? পরের সপ্তাহগুলিতে বকেয়া সামগ্রী কেন দেওয়া হয় না? সেগুলি কোথায় যায়? তা নিয়ে অমরেন্দ্রবাবুর মতো মহকুমা খাদ্য নিয়ামক সৈকত চক্রবর্তীও সদুত্তর দিতে পারেননি। তাঁর দাবি, ‘‘এফসিআই থেকে নিয়মিত খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ হয় না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন