Congress

বিধায়কের সেতু-ক্ষোভে পাল্টা প্রশ্ন, ‘বরাদ্দ কই?’

প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলা থেকে এলাকার বেহাল সেতুর বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল।

Advertisement

বাপি মজুমদার

হরিশ্চন্দ্রপুর শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:২৫
Share:

বেহাল: কলাবাড়ি সেতুর দুরবস্থা দেখাচ্ছেন বিধায়ক। নিজস্ব চিত্র

‘‘সেতু ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরে কি হুঁশ ফিরবে প্রশাসনের’’—হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসীহাটায় মরা মহানন্দার উপরে কলাবাড়ি সেতুর অবস্থা দেখে এ ভাবেই ক্ষোভ উগরে দিলেন হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক মোস্তাক আলম। বাসিন্দারা একাধিক বার দাবি জানালেও সংস্কার হয়নি সেতু। যে কোনও সময় সেতু ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। সেতু পার হওয়ার সময় বিধায়কের গাড়িও দুর্ঘটনা থেকে কোনও রকমে রক্ষা পায়। তার পর সেখান থেকেই প্রশাসনের কর্তাদের ফোন করে বেহাল সেতুর কথা জানান বিধায়ক। তবে বাসিন্দার প্রশ্ন, কংগ্রেসের বিধায়ক প্রশাসন, শাসকদলকে বিঁধলেও এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকায় তিনি কেন সেতুটি সংস্কারে উদ্যোগী হননি।

Advertisement

হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসু বলেন, ‘‘সেতু সংস্কারের প্রস্তাব জেলায় পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ মিললেই কাজ হবে।’’

প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলা থেকে এলাকার বেহাল সেতুর বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল। কলাবাড়ি সেতু ছাড়াও হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালের অদূরে বেহাল রামরাইঘাট সেতুর সংস্কার জরুরি বলে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জেলায় প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বাসিন্দারা জানান, তুলসীহাটা-কুশিদা রাজ্য সড়কের মস্তান মোড় থেকে মোবারকপুর পর্য়ন্ত ১৮ কিলোমিটার রাস্তা চার বছর আগে পাকা হয়েছে। ওই মোড়ের অদূরেই মরা মহানন্দার উপরে সেতুটি রয়েছে। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় রাস্তাটি পাকা করার সময় নতুন সেতুর দাবি উঠলেও পরিকল্পনায় নেই বলে নতুন সেতু হয়নি। কিন্তু জীর্ণ ওই সেতুটি ২০১৭ সালের বন্যায় আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই সেতু পেরিয়ে বিপজ্জনক ভাবে তুলসীহাটা, রশিদাবাদ, বরুই পঞ্চায়েতের ৩৫টিরও বেশি এলাকার লক্ষাধিক বাসিন্দা যাতায়াত করেন। উত্তর হরিশ্চন্দ্রপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের লাইফলাইন হিসেবে পরিচিত রাস্তাটি। সম্প্রতি সেতুটির মাঝখানে কংক্রিটের কিছু অংশ ভেঙে পড়েছে। ফলে বড় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। রাতে সেতুর মাঝে ফাটলে বাইক, সাইকেলের চাকা ঢুকে দুর্ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে উঠেছে।

Advertisement

মোস্তাক বলেন, ‘‘সেতুর মাঝখানে ভেঙে গিয়েছে। অথচ প্রশাসনের হুঁশ নেই ভাবতেই অবাক লাগছে। জেলা প্রশাসনের কর্তাদের জানিয়েছি।’’

জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য সন্তোষ চৌধুরী বলেন, ‘‘বিধায়কও তো উন্নয়ন তহবিল থেকে সেতু সংস্কারে উদ্যোগী হতে পারেন।’’ বিধায়ক বলেন, ‘‘উন্নয়ন তহবিলে যা বরাদ্দ মেলে তা দিয়ে সব কিছু করা সম্ভব নয়। সেটা সময়সাপেক্ষও। জরুরি ক্ষেত্রে প্রশাসনকেই উদ্যোগী হতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন