ভোটের-বাদ্যি: তৃণমূলের শোভাযাত্রা। মঙ্গলবার হবিবপুরে। নিজস্ব চিত্র
সবাই তখন অপেক্ষা করছেন। কলকাতার কালীঘাটে তৃণমূল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভা ভোটে দলের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করবেন। অনেকেরই বুক দুরদুর করছে। ব্যতিক্রম শুধু উত্তর মালদহ। মঙ্গলবার সকালেই বুলবুলচণ্ডীতে ঢাক বাজিেয় প্রচারে নেমে পড়লেন তাঁর সমর্থকেরা।
মৌসম যে এই কেন্দ্রে প্রার্থী হবেন, তা ২৮ জানুয়ারিই অবশ্য ঘোষণা করে দিয়েছিলেন মমতা। সেই দিনই কালীঘাটে গিয়ে মৌসম তৃণমূলে যোগ দেন। তাই ভোটের দিন ঘোষণার আগে থেকেই প্রচার শুরু করে দিয়েছিলেন মৌসম। সবার আগে জোর দিয়েছিলেন তাঁর সংসদীয় এলাকার তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলাপ করার কাজে।
এ দিন সকালে তাই অনেক সম্ভাব্য প্রার্থীই যখন উদ্বেগের সঙ্গে কালীঘাটে কী ঘোষণা হয়, তার দিকে তাকিয়ে, হবিবপুরের বুলবুলচণ্ডীতে তখন মা চণ্ডী ও বুড়াকালী মন্দিরে পুজো দিয়ে ঢাক বাজিয়ে শোভাযাত্রা শুরু করে দেন মৌসমের সমর্থকেরা।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এ দিন দিনভর হবিবপুর ব্লক জুড়ে দেওয়াল লিখনও করেছেন তৃণমূল কর্মীরা। বুলবুলচণ্ডীতে মা চণ্ডী মন্দির ও বুড়া কালী মন্দিরে মৌসমের সমর্থনে পুজো দেন তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত শর্মা ও তৃণমূল কর্মীরা। অন্তত দশটি ঢাক বাজিয়ে সেই পুজো পর্ব চলে। তারপরেই ঢাক বাজিয়ে মৌসমের সমর্থনে প্রচার মিছিল বের হয় বুলবুলচণ্ডীতে। বাসস্ট্যান্ডে শুরু করা হয় দেওয়াল লিখনও। হেমন্তবাবু ও সাধারণ দলীয় কর্মীরাও সেই দেওয়াল লিখনে হাত লাগান। পরে একাধিক দেওয়াল লিখন করা হয় মৌসমের সমর্থনে। হেমন্তবাবু জানিয়েছেন, এ দিন গোটা হবিবপুর ব্লক জুড়ে উত্তর মালদহের দলীয় প্রার্থী মৌসমের সমর্থনে দেওয়াল লিখন হয়েছে।
এদিকে মৌসম এদিন দিনভর নিজের ব্যক্তিগত কার্যালয় নুর ম্যানসনে থেকে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন। পাশাপাশি হবিবপুর ব্লকের শ্রীরামপুর থেকে আসা বেশ কিছু কংগ্রেস কর্মী এদিন সেখানে দলে যোগ দেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন মৌসম নিজেই। মৌসম বলেন, ‘‘প্রচার আগেই শুরু হয়েছিল। তবে এ দিন থেকে সেই প্রচারের পারদ চড়ল।’’