ক্ষোভের মুখে বামপ্রার্থী

প্রচারের সময় দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী সমন পাঠককে ঘিরে ধরে ক্ষোভ জানালেন বাসিন্দারা। শনিবার শিলিগুড়ির পুর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৯ ০৫:২৭
Share:

বামপ্রার্থী সমন পাঠকের কাছে অভিযোগ জানাচ্ছেন এক বাসিন্দা। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

প্রচারের সময় দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী সমন পাঠককে ঘিরে ধরে ক্ষোভ জানালেন বাসিন্দারা। শনিবার শিলিগুড়ির পুর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। স্থানীয়দের অভিযোগ, পঞ্চম মহানন্দা সেতু উদ্বোধন হলেও সার্ভিস রোড তৈরি করেনি। ওই বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন সমন। তাঁর দাবি, সেতুর কাজ সম্পূর্ণ করার কথা ছিল এসজেডিএর, কিন্তু তারা তা করেনি। এই বিষয়ে এসজেডিএর চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রাস্তার টেন্ডার হয়েছে। কিছু জায়গা অধিগ্রহণ করতে হতে পারে। ভোট গেলে দেখছি।’’

Advertisement

রবিবার সকালে প্রার্থী সমন পাঠককে নিয়ে কয়েকটি পুর এলাকায় প্রচারে বেরিয়েছিলেন অশোক ভট্টাচার্যরা। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঝঙ্কার মোড় বাজার থেকে এ দিন প্রচার শুরু। হয়। ছিলেন ওই ওয়ার্ডের বাম কাউন্সিলর পরিমল মিত্রও। তারপরে তাঁরা যান ৫ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানে প্রার্থী যেতেই স্লোগান দেন দলীয় সমর্থকরা। ফুল ছুড়ে সমনকে স্বাগত জানান তাঁরা। পরে ওই ওয়ার্ডেই নতুন পাড়ার শেষে মহানন্দা সেতুর গোড়ায় যান সমন। সেখানে তিনি শুভেচ্ছা বিনিময় করতেই কিছু বাসিন্দা তাঁকে ঘিরে ক্ষোভ জানাতে শুরু করেন।

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

Advertisement

শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদ (এসজেডিএ) এ বছর জানুয়ারিতে মহানন্দার পঞ্চম সেতু উদ্বোধন করলেও তার দু’পাশে সার্ভিস রোড তৈরি করেনি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। তা নিয়েই কয়েকজন চিৎকার চেঁচেমেচি জুড়ে দেন। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন পরিমল মিত্র। কেবল রাস্তাই নয়, নর্দমা সাফাই ও অন্য পুর পরিষেবা নিয়ে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দুর্গা সিংহের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ দেখান তাঁরা। কাউন্সিলরের বাড়ি গিয়েও কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন। দুর্গা সিংহ বামেদের হয়ে ভোটে জিতলেও বছরখানেক আগে তৃণমূলে যোগ দেন। নতুনপাড়ার বাসিন্দা শান্তি সাউ বলেন, ‘‘বামেদের শেষ পুর নির্বাচনে জিতিয়েছিলাম। কিন্তু কাউন্সিলর আবার তৃণমূলে চলে গিয়েছেন। এখন এলাকায় কাজ হচ্ছে না। কোনও দলে বিশ্বাস নেই। এ বার ভোট চাইতে যেই আসুক বাড়িতে ঢুকতে দেব না।’’

এ দিন সমন বলেন, ‘‘পাহাড়ে প্রচার করছি। সমতলেও বিশেষ করে শিলিগুড়ির ৪০ শতাংশ ওয়ার্ডে প্রচার করেছি। দিনে অন্তত ১০ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement