বিনয় তামাং। —ফাইল চিত্র।
সব ঠিক থাকলে কদিন পরেই লোকসভা ভোট। সেদিকে তািকয়ে ঘর গোছাতে শুরু করে দিয়েছেন বিনয় তামাংরা। সম্প্রতি হয়েছে মোর্চার চিন্তন শিবির। সূত্রে খবর, বিমল গুরুং কী ভাবে লোকসভা ভোটে পাহাড়ে প্রভাব ফেলতে পারে সেই নিয়ে ওই শিবিরে আলোচনাও হয়েছে। তাই লড়াই হাড্ডাহাড্ডি হবে ধরে নিয়েই পাহাড়ে জনসংযোগের কাজ শুরু করে দিয়েছেন বিনয় তামাং।
পাহাড়়বাসীদের মন বুঝতে ইতিমধ্যেই জিটিএ-র পক্ষ থেকে একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করা হয়েছে। সেখানে বাসিন্দারা তাঁদের এলাকার সমস্যা, প্রশাসনিক জটিলতা, দুর্নীতি, নিজেদের চাহিদার কথা জানাতে পারবেন। তাতে ভাল সাড়াও মিলছে বলে জানাচ্ছেন মোর্চার বিনয়পন্থী নেতারা। সপ্তাহে একদিন করে সেই অভিযোগের সমাধান করতে বৈঠক করবেন বলেও জানিয়েছেন বিনয়। পাহাড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ছোট ছোট জনপদগুলোয় মোর্চা নেতারা বৈঠকও শুরু করেছেন।
নারী মোর্চা, যুব মোর্চা, চা বাগান শ্রমিক, ট্যাক্সি চালকদের সংগঠন সহ মোর্চার সমস্ত শাখা সংগঠনগুলোকে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেই বিনয় জানিয়েছেন। মোর্চা সূত্রে খবর কালিম্পং ও ডুয়ার্সে সংগঠন শক্তিশালী করতে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি দার্জিলিংয়ে দলের প্রথম সারির নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন বিনয়। সেখানে এলাকা ভিত্তিক দায়িত্ব ভাগ করা হয়েছে।
চলতি মাসেই চার দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে আসার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই সময় পাহাড়েও যাবেন তিনি। সব ঠিক থাকলে সেখানেই দার্জিলিং কেন্দ্রের প্রার্থী নিয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে পারে। আগে একাধিকবার বিনয় জানিয়েছেন যে তাঁরা বিজেপি-র সঙ্গে থাকবেন না। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছি। তবে কে প্রার্থী হবে, কাদের সঙ্গে জোট হবে সেগুলো নিয়ে আলোচনা চলছে। পাহাড়ের মানুষজন আমাদের সঙ্গেই আছে।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে শেষ এক সপ্তাহে কালিম্পং, মিরিক, গরুবাথান, বিজনবাড়ি, দার্জিলিং শহর সহ কিছু এলাকায় বৈঠক করেছেন মোর্চা নেতারা। নারী ও যুব মোর্চাও একাধিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। বৈঠকের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খেলাধূলার মাধ্যমেও জনসংযোগ তৈরির চেষ্টা করছেন মোর্চা নেতারা। পানীয় জল, সেচ, রাস্তা ও নেপালি অ্যাকাডেমির কাজে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।