ইন্দো-ভুটান সীমান্ত। ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের কারণে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই সিল করে দেওয়া হয়েছে ভারত-ভুটান সীমান্ত। তবে বিএসএফ ও এসএসবির আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ভোটের সময় সিল হচ্ছে না ভারত-বাংলাদেশ ও ভারত-নেপাল সীমান্ত। দুই সীমান্ত দিয়েই স্বাভাবিক নিয়মে যাতায়াত ও পণ্য পরিবহন চলবে বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। তবে এই দুই সীমান্তে নজরদারি আরও বাড়ানো হচ্ছে বলেই তাদের দাবি। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুরুতে ঠিক হয়েছিল ভুটান সীমান্তের মতো অন্য দুই সীমান্তও সিল করে দেওয়া হবে। তবে শেষ পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে তেমন কোনও নির্দেশ আসেনি। নেপাল সীমান্ত পুরোপুরি খোলা। বাংলাদেশ সীমান্তের বহু জায়গাতে এখনও কাঁটাতারের বেড়া হয়নি। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত সিল না হলে ভোটে তার কোন প্রভাব পরবে কি না, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দুই দিনাজপুর ও মালদহ— এই সব জেলায় রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত। দার্জিলিং জেলায় নেপাল ও বাংলাদেশ দুই সীমান্তই আছে। কিছু দিন আগেই নেপাল সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে এসএসবি। বিমল গুরুংও নেপালে দীর্ঘদিন আত্মগোপন করে ছিলেন বলেই পাহাড়ে রটে গিয়েছিল। এর আগেও শিলিগুড়ি শহর থেকে বিস্ফোরক-সহ গ্রেফতার হয়েছিলেন নেপালের তিন জন বাসিন্দা। ফলে অবাধ যাতায়াতের সুযোগ নিয়ে নেপাল থেকে দুষ্কৃতীদের পাহাড়ে ঢোকার আশঙ্কা করছে পুলিশের একটা অংশ।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
অবশ্য সীমান্ত সুরক্ষিত থাকবে বলেই আশ্বস্থ করেছেন এসএসবির শিলিগুড়ি ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি থমাস চাকো। তিনি বলেন, ‘‘নেপাল সীমান্ত সিল করার নির্দেশ আসেনি। আমরা নজরদারি বাড়াচ্ছি। বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিংও করা হচ্ছে। সীমান্তে জওয়ানদের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। ভোটে তার কোনও প্রভাব পড়বে না।’’
বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে বিভিন্ন সময়ে জাল নোট, অস্ত্র বা গরু পাচারের ভুরি ভুরি অভিযোগ ওঠে। প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও জায়গা থেকে উদ্ধার হচ্ছে কিছু না কিছু বেআইনি জিনিস। পাচারের রুট ধরে দুষ্কৃতীরা যে সহজেই ভারতে ঢুতে যেতে পারে, তেমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দাদের একাংশও। বিএসএফের উত্তরবঙ্গের আইজি আজমল সিংহ কাথাট বলেন, ‘‘সীমান্ত সিল করা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনও নির্দেশ পাইনি। তবে সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’’