বেহাল: এমনই ভাঙাচোরা কলসিগ্রামে ঢোকার রাস্তা। নিজস্ব চিত্র
দেশ জুড়ে লোকসভা ভোট নিয়ে উন্মাদনা তৈরি হলেও তার উত্তাপ তেমন ভাবে পৌঁছয়নি কলসিগ্রামে। মেখলিগঞ্জ ব্লকের কুচলিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কাঁটাতারের বেড়ার বাইরে থাকা এই এলাকার বাসিন্দারা ভোট নয়, নিজেদের দৈনন্দিন সমস্যা নিয়েই ব্যস্ত। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর ৩১ নম্বর গেট বন্ধ হয়ে গেলেই যে নিজ ভূমে পরবাসী কলসিগ্রামের বাসিন্দারা।
এর মধ্যে ভোট এলে তাঁরা আশা করেন, এলাকার উন্নয়ন হবে। কিন্তু অভিজ্ঞতা বলছে, কোনও উন্নতিই সে ভাবে হয় না। গ্রাম পড়ে থাকে সেই তিমিরেই।
এই গ্রামে ঢোকার একমাত্র রাস্তাটি বেহাল। গ্রামে পৌঁছয়নি পানীয় জল। যা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন কলসিগ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, ভোট আসে ভোট যায় কিন্তু কলসিগ্রামে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে না। কলসিগ্রামে একদিকে বাংলাদেশ বাকি তিন দিক কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘেরা। গ্রামে যাওয়া আসার জন্য ওই গেটটিই একমাত্র পথ। যা সকাল ৬ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত পরিচয় পত্র দেখিয়ে যাতায়াত করা যায়।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
গ্রামের লোক সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ২৫০ জন। ভোটার পাঁচশোর মতো। স্থানীয় বাসিন্দা নুর ইসলাম, আব্দুল সালাম, জরিমন বিবি, সামিনা বেওয়া জানান, কলসিগ্রামের সব থেকে বড়ো সমস্যা কাঁটাতারের গেট। কারণ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী চেকিংয়ের নামে রীতিমতো হেনস্থা করে সাধারণ মানুষকে। পাশাপাশি রাস্তা থেকে পানীয় জলের সমস্যার কারনে প্রতিনিয়ত সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় তাদের। যদিও বিএসএফ হেনস্থার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানান।
লোকসভা ভোট নিয়ে এই গ্রামে এখনও কোন প্রচার নেই বলে তারা জানান। কলসিগ্রামের সমস্যা নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য আব্দুল মজিদ বলেন গেটের সমস্যা নিয়ে সাধারণ মানুষ যে অভিযোগ করছেন তা তারা তাকেও জানিয়েছেন। তিনি বিষয়টি প্রশাসনের পাশাপাশি সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর আধিকারিকদের জানাবেন। এলাকার সমস্যাগুলো মেটানোর চেষ্টা করছেন। তিনি জানান, ভোট নিয়ে ঘরোয়া সভা হচ্ছে।