ভোটকেন্দ্রের পথে ভোটকর্মীরা। বালুরঘাটে। নিজস্ব চিত্র
বহু দিন পর দুই ছেলেমেয়ের সঙ্গে সময় কাটালেন মা। আজ, মঙ্গলবার ভোট। আগেরদিন, সোমবার কোনও প্রচার ছিল না। তাই ফুরসত পেয়ে এ দিন জমিয়ে ছেলেমেয়েকে সঙ্গ দিলেন উত্তর মালদহের তৃণমূল প্রার্থী মৌসম নুর। সকাল থেকে একবারে দুপুর পর্যন্ত।
ওই কেন্দ্রেরই কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরীর অবশ্য সারাদিন কাটল শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগে। সারাদিন ধরে কখনও ঘুরে ঘুরে, কখনও কখনও বাড়িতে বসে ফোনে খোঁজ নিলেন নিজের কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথের। তাহলে কি তিনি এবার চাপে রয়েছেন? ইশার জবাব, ‘‘একটু উদ্বেগে তো আছিই। আসলে, লোকসভা ভোটে তো প্রথম দাঁড়াচ্ছি। স্বচ্ছ ভাবে ভোট যাতে হয়, তা নিশ্চিত করাই আমার লক্ষ্য।’’ ভোটের আগের রাতটা কি জেগেই কাটাবেন? ইশা বললেন, ‘‘ঘুমোনোর চেষ্টা তো করব। হবে কিনা জানি না।’’ অন্যদিকে, একই প্রশ্নের জবাবে মৌসমের উত্তর, ‘‘ঘুম নিশ্চয় হবে। কিন্তু উদ্বেগ তো আছেই একটু।’’
আজ মালদহ উত্তর ও দক্ষিণ কেন্দ্রের ভোট। গত লোকসভা নির্বাচনে দু’টি আসনেই জিতেছিল কংগ্রেস। মালদহ উত্তরে জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী মৌসম দল পাল্টে এবারে তৃণমূলের প্রার্থী। তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন তাঁরই মামাতো দাদা কংগ্রেসের ইশা। বিজেপি প্রার্থী সিপিএম থেকে সদ্য দলত্যাগী খগেন মুর্মু। সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বনাথ ঘোষও রয়েছেন লড়াইয়ে। মোট ১৬ জন প্রার্থী। অন্যদিকে, মালদহ দক্ষিণে জয়ী কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু) এবারেও একই আসনে প্রার্থী। তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের মোয়াজ্জেম হোসেন ও বিজেপির শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। এখানে মোট ১০ জন প্রার্থী। সব মিলিয়ে দুই কেন্দ্রের একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থীর ভবিষ্যৎ স্থির হয়ে যাচ্ছে আজই। বিশেষ করে গনি খানের স্মৃতিবিজড়িত কোতোয়ালি ভবনের তিন সদস্যের ‘ভাগ্য’ এবং তার জেরে ওই পরিবারের রাজনৈতিক অঙ্ক কোন দিকে গড়ায়, সেদিকে নজর থাকবে গোটা মালদহের।
মালদহ উত্তর আসনের ডিসিআরসি হয়েছে মালদহ কলেজ, চাঁচল সিদ্ধেশ্বরী ইনস্টিটিউশন ও চাঁচল কলেজে। এবং মালদহ দক্ষিণ আসনের ডিসিআরসি হয়েছে মালদহ পলিটেকনিক কলেজ এবং মুর্শিদাবাদ জেলার সামসেরগঞ্জ ও ফরাক্কায়। এ দিন দুপুর থেকেই বুথে বুথে ভোটকর্মী থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশ কর্মীরা পৃথক ভাবে পৌঁছতে শুরু করেছেন। জেলার ৫০টি মহিলা ভোটকর্মী পরিচালিত বুথও হয়েছে। সেই বুথগুলি হয়েছে ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদহ শহর, গাজল ১ ও চাঁচল ১ ব্লকে।
ৈ