মঙ্গলবার মনোনয়ন দিলেন আলিপুরদুয়ারের বাম প্রার্থী মিলি ওরাওঁ। ছবি: নারায়ণ দে
আসন সমঝোতা আপাতত ভেস্তে গেলেও আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে কংগ্রেসের সমর্থন চান বাম প্রার্থী মিলি ওরাওঁ। মঙ্গলবার মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েই জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে হাতজোড় করে সেই আবেদনই করলেন মিলি। যদিও জেলা কংগ্রেস নেতারা জানিয়ে দিয়েছেন, সময় পেরিয়ে গিয়েছে। এখন আর তেমনটা করা সম্ভব নয়।
এ বারের নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস দু’পক্ষের মধ্যে আসন সমঝোতা হয় কি না, তার দিকে অনেকদিন ধরেই তাকিয়ে ছিলেন আলিপুরদুয়ারের বাম ও কংগ্রেস শিবির। বিশেষ করে আরএসপি-সহ বাম শরিকদের অনেক নেতাই কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার আশায় বসেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ভেস্তে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ফ্রন্টের নীচুতলার কর্মী সমর্থকরা হতাশ হয়ে পড়েন। দল সূত্রে খবর, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে এককভাবে লড়াইটা যে অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়ল তা বুঝতে পারেন দলের জেলা শীর্ষ নেতাদের অনেকেও। এই পরিস্থিতিতেই প্রকাশ্যে আরএসপি প্রার্থী মিলি ওরাওঁ কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের সমর্থন চেয়েছেন বলে মত দলেরই অনেক নেতা-কর্মীর।
মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে প্রথম প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন মিলি। এ দিন বেলার দিকে সিপিএম পার্টি অফিস থেকে ফ্রন্টের একদল নেতা-কর্মীর সঙ্গে মিছিল করে ডুয়ার্সকন্যায় আসেন মিলি। সেখানে মনোনয়ন পত্র জমা দেন তিনি। ডুয়ার্সকন্যা থেকে বেরিয়ে মিলি বলেন, “আমি জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছে হাতজোড় করে আবেদন করতে চাই, ওঁরা যদি প্রার্থী না দিয়ে থাকেন তবে যেন আমাদের সঙ্গে থাকেন।” একইসঙ্গে মিলি বলেন, “উপর থেকে সঙ্কেত এলে আমাদের দলের জেলা নেতারাও কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলবেন।” তবে এ প্রসঙ্গে জেলা কংগ্রেস সভাপতি গজেন বর্মণ বলেন, “বামেদের সঙ্গে সমঝোতার সমস্ত প্রক্রিয়া ভেস্তে গিয়েছে। আমাদের প্রার্থীর নামও ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। তাই এখন আর এটা সম্ভব নয়।”
তবে প্রার্থীর এই আবেদন নিয়ে ফ্রন্টের অন্দরে কোনও বিতর্ক দানা বাঁধুক তা চাইছেন না আরএসপি নেতৃত্ব। আর তাই মিলির এই আবেদনের পরই আরএসপির জেলা নেতা, প্রাক্তন বিধায়ক নির্মল দাস বলেন, “কংগ্রেস নিজেদের অবস্থানে দাঁড়িয়ে যদি প্রার্থী দেয়, তাহলে আমরা তো তাদের কিছু বলতে পারি না। আসলে মিলি বলতে চেয়েছন, কংগ্রেস ও অকংগ্রেস যত মানুষ আছেন সবাই যেন তাঁকে সমর্থন করেন।”