মেখলিগঞ্জে পরেশ অধিকারী। নিজস্ব চিত্র
নিজে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী। সেই পরেশ অধিকারী ১১ এপ্রিল কোচবিহারে ভোট মেটার পর থেকেই নিজের ‘খাসতালুক’ বলে পরিচিত মেখলিগঞ্জে প্রচারে নজর দিচ্ছিলেন। জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সেই মেখলিগঞ্জে ভোটের দিন বৃহস্পতিবারও বিভিন্ন বুথ অফিসে ঘুরে ভোটের কাজ তদারকি করলেন পরেশ।
এ দিন অবশ্য নিয়মের গেরোয় মেখলিগঞ্জ শহরের তৃণমূল পার্টি অফিস বন্ধ রাখা হয়। মেখলিগঞ্জ হাইস্কুলের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে তৃণমূলের ওই অফিস। নির্বাচন কমিশনের তরফে তাই অফিসটি বন্ধ রাখার পাশাপাশি দলীয় পতাকা, ব্যানার সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ওই নির্দেশ মেনেই বুধবার অফিস তালাবন্ধ করে দেন দলীয় নেতৃত্ব। তাই ভোটের দিন তৃণমূল নেতা, কর্মীরা সেখানে বসতে বসতে পারেননি। দলবদলের পর এলাকায় প্রথম লোকসভা ভোটে অবশ্য নানা জায়গায় ঘুরে ভোটের কাজ কেমন চলছে তা কর্মীদের থেকে খোঁজ নেন পরেশ। তিনি বলেন, “নিয়ম মেনেই ওই অফিস বন্ধ রাখা হয়। মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়েছেন। তৃণমূল প্রার্থীই জিতবেন।”
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
‘গুরু’ পরেশের মতো একসময় ফরওয়ার্ড ব্লকে ছিলেন তাঁর ‘শিষ্য’ বলে পরিচিত দধিরাম রায়। তিনি অবশ্য পরেশের আগেই দলবদলে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। দলীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, মেখলিগঞ্জ বাজারে বিজেপি পার্টি অফিসে বেশ কিছুক্ষণ ছিলেন তিনি। ব্লকের বিভিন্ন এলাকাতেও গিয়েছেন। দধিরাম বলেন, “ছোটখাটো দু’একটি ঘটনা ছাড়া ভোট নির্বিঘ্নে হয়েছে। আমরাই জিতব।” সিপিএমের মেখলিগঞ্জ ১ এরিয়া কমিটির সম্পাদক অনিরুদ্ধ ঘোষ, কংগ্রেস নেতা মায়াশঙ্কর সিংহ প্রমুখও এলাকার দলীয় অফিসে বসে ভোটের খোঁজখবর নেন। কিছু এলাকাতেও গিয়েছেন তাঁরা। ওই দুই নেতাই জানান, দলের প্রার্থীর জয় নিয়ে আশাবাদী তাঁরা।
সকাল থেকে মেখলিগঞ্জের বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে উৎসবের আবহে ভোট শুরু হয়। ভোটারদের লম্বা লাইন ছিল। তবে ১২টি বুথে ইভিএম খারাপ থাকার কারণে ভোট কিছুটা দেরিতে শুরু হয়। প্রশাসনের এক কর্তা জানান, দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। দু’জন ভোটকর্মী অসুস্থ হয়ে পড়ায় পরিবর্ত ভোটকর্মীদের বুথে পাঠানো হয়।