প্রধানমন্ত্রীর সভা, তৎপর ট্র্যাফিক

রোগীকল্যাণ সমিতির তরফে হাসপাতাল সুপারের মাধ্যমে জানানো হয়েছে প্রশাসনের কাছে। রবিবারই শিলিগুড়িতে এসে পৌঁছেছে মোদীর সফর সূচি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৯ ১১:৩০
Share:

তৎপর: প্রধানমন্ত্রীর জনসভার আগেই জঙ্গল সাফাইয়ে ব্যস্ত কর্মীরা। নিজস্ব চিত্র

আগামী ৩ এপ্রিল কাওয়াখালির মাঠে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় প্রচুর জনসমাগম আশা করছে দল। লক্ষাধিক লোকের সমাগম হতে পারে ধরেই শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। কিন্তু সভাস্থল থেকে ঢিলছোঁড়া দুরত্বে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। কোনও কারণে রাস্তা অবরুদ্ধ হলে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা রোগী বা তাঁদের পরিবারের ভোগান্তি হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। তেমনিই, আগাম না জেনে ঘুরপথে চলতে গিয়ে মুমূর্ষু রোগীর প্রাণ সংশয়ও হতে পারে। তবে ট্র্যাফিক ব্যবস্থা যানজট মুক্ত রাখারই চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে পুলিশ কমিশনারেটের তরফে।

Advertisement

মেডিক্যাল কলেজের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ভোটের প্রচারের সভা। তাতে আপত্তি জানানো যায় না। কিন্তু এমন একটি রাস্তায় সভা হচ্ছে, তা বন্ধ হলে রোগীদের বেশ সমস্যা হতে পারে।’’ রোগীকল্যাণ সমিতির তরফে হাসপাতাল সুপারের মাধ্যমে জানানো হয়েছে প্রশাসনের কাছে। রবিবারই শিলিগুড়িতে এসে পৌঁছেছে মোদীর সফর সূচি।

পুলিশ সূত্রের খবর, বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে নেমে সভায় আসবেন মোদী। তাই স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর সভাস্থলে আসার আগে এবং অনুষ্ঠান সেরে সভাস্থল ছেড়ে যাওয়ার সময় নৌকাঘাট রোড বন্ধ রাখার কথা নিরাপত্তার কারণে। পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবক থাকলেও বিশৃঙ্খলা হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশের একটি অংশও। পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘নৌকাঘাটে এশিয়ান হাইওয়ের রাস্তা চওড়া। প্রয়োজনে সেটিকে ডিভাইডার দিয়ে অর্ধেক করে এক দিকের যান চলাচল চালু রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। তখন গাড়ি এক মুখী করতে হতে পারে।’’

Advertisement

কিন্তু আলোচনায় রাস্তা অবরুদ্ধ হলে অ্যাম্বুল্যান্স মেডিক্যাল কলেজ পর্যন্ত কোন পথে চালানো হবে তা অবশ্য জানাতে পারেননি ট্র্যাফিক কর্তারা।

তাই রোগীদের হেনস্থা রুখতে ওই সময় শহরের আরও চারটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ট্র্যাফিক গার্ডকে সর্তক রাখা হবে। কারণ জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার থেকে আসা রোগীদের সেই সময় যদি নৌকাঘাট রোড ব্যবহার করতে না দেওয়া হয়, তাহলে তাঁদের ফুলবাড়ি মোড় ক্যানেল রোড, রাঙাপানি হয়ে আসা যাওয়া করতে হবে। তা না হলে নৌকাঘাটে এসে ট্র্যাফিক বন্ধ পেলে রোগীকে দার্জিলিং মোড় বা ফুলবাড়ি যে কোনও এক দিক দিয়ে ঘুরতে হলেও প্রায় ১৬ কিলোমিটার বাড়তি পথ ঘুরতে হবে। সেবক, কালিম্পং বা শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের দিক থেকে যানজট এড়িয়ে মেডিক্যাল কলেজের দিকে যেতে হলে রোগীর পরিবারকে ৩১-এ জাতীয় সড়ক ধরে এশিয়ান হাইওয়ের উড়ালপুল ধরে মেডিক্যাল মোড় হয়ে পৌঁছতে হবে। পুলিশও বাসিন্দাদের সেই পরামর্শ দিচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন