ভিড় ইশা, বিশ্বনাথের প্রচারেও

এক সময় রতুয়ার বিধায়ক ছিলেন জেলার দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা শৈলেন সরকার। তাঁর উদ্যোগেই রতুয়ায় স্টেডিয়াম-সহ নানা উন্নয়নমূলক কাজ হয়। প্রচারে বামেদের সেই অবদানের প্রসঙ্গ তুলে হারানো গড় ফিরে পেতে মরিয়া বাম প্রার্থীও।

Advertisement

বাপি মজুমদার

রতুয়া শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৯ ১০:৪০
Share:

ইশা খানের প্রচার। নিজস্ব চিত্র।

দলের বিধায়ক শাসকদলে যোগ দিয়েছেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও আলগা হয়েছে মাটি। তার পরেও রতুয়ায় গড় ধরে রাখতে মরিয়া কংগ্রেস। তার আগে রতুয়া একসময় শক্ত ঘাঁটি ছিল বামেদেরও। সেই গড় ধরে রাখতে রবিবার ছুটির দিন বেছে নিয়ে সারাদিন দাপিয়ে বেড়ালেন উত্তর মালদহের কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরী ও বাম প্রার্থী বিশ্বনাথ ঘোষ।

Advertisement

রতুয়ার দু’টি ব্লকের একাধিক এলাকায় প্রচারের সময় হুড খোলা গাড়ি থেকে নেমে কখনও প্রার্থীকে জড়িয়ে ধরে আশীর্বাদ চাইলেন গনিখানের ভাইপো ইশা। দলত্যাগী বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় বা সাংসদ মৌসম নুরের নাম না করে বললেন, ‘‘বেইমানদের চিনে রাখুন। ওরা গনিখানকে ভালোবাসেনি।’’ অন্য দিকে, বিশ্বনাথও দলীয় কর্মীদের সঙ্গে মিছিল করে হাঁটার সময় কখনও বাজারে ঢুকে, কখনও পথচলতি মানুষকে জড়িয়ে ধরে সুযোগ দেওয়ার আশীর্বাদ প্রার্থনা করলেন। ছুটির দিন থাকায় ইশার রোড শো হোক, বা বিশ্বনাথের প্রচার—মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

এ দিন সাতসকালে কুমারগঞ্জে স্থানীয় পিরের মাজারে শ্রদ্ধা জানিয়ে পথে নামেন ইশা। মোতিগঞ্জ থেকে রোড শো শুরু হয়। ভাদো, কার্বনা, দেবীপুরের গ্রামে গ্রামে ঘুরে প্রচার চালান। দুপুরে রতুয়ার হোটেলে কর্মীদের নিয়ে খাওয়া সারেন। তার পরে ফের শুরু হয় প্রচার। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই রতুয়ার একাধিক বুথে বন্দুক কাঁধে দাপাদাপি করতে দেখা গিয়েছিল দুষ্কৃতীদের। বুথ লুটও হয়। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই ওই ঘটনায় জড়িত বলে কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল। অবশ্য তৃণমূল আগাগোড়াই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ইশা বলেন, ‘‘অনেকেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি বলে জানিয়েছেন। এ বার ভোট হলেই প্রমাণ হয়ে যাবে যে রতুয়ায় কংগ্রেসের গড় এখনও অক্ষত।’’

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

এ দিকে এক সময় রতুয়ার বিধায়ক ছিলেন জেলার দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা শৈলেন সরকার। তাঁর উদ্যোগেই রতুয়ায় স্টেডিয়াম-সহ নানা উন্নয়নমূলক কাজ হয়। প্রচারে বামেদের সেই অবদানের প্রসঙ্গ তুলে হারানো গড় ফিরে পেতে মরিয়া বাম প্রার্থীও। এ দিন কদমতলি থেকে প্রচার শুরু করেন তিনি। তারপর সারাদিন ধরে শ্রীপুর ১ ও ২ পঞ্চায়েত, পরাণপুর, আড়াইডাঙা, পুখুরিয়া এলাকায় প্রচার চালান। দুপুরে আলালে এক যুবনেতার বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে সেখানেই দুপুরের খাবার খেয়ে ফের পথে নামেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন