গৌতম দেব। —ফাইল চিত্র।
দলের প্রার্থী অমর সিংহ রাইয়ের প্রচারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিতে চাইছেন গৌতম। আর সেই কারণেই নানা সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্থানে ঘুরছেন তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি গৌতম দেব। আগেই শহরের বিভিন্ন মন্দিরে গিয়েছিলেন তিনি। রবিবার সকালে তিনি গেলেন গুরুদ্বার ও গির্জায়। দলের ও প্রার্থীর হয়ে বিশেষ প্রার্থনাও করেন মন্ত্রী। এরপরে বৌদ্ধ মঠ, দরগা, মসজিদেও যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি প্রার্থীকে নিয়ে সমতলে দিনভর প্রচার চালান গৌতম।
এ দিন সকালে সেবক রোডের একটি গুরুদ্বারে যান মন্ত্রী। নান্টু পাল, মনোজ আগরওয়াল সহ বেশ কয়েকজন দলীয় নেতা তাঁর সঙ্গে ছিলেন। গুরুদ্বার পরিচালন কমিটির পক্ষ থেকে গৌতমকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। উপস্থিত ভক্ত ও পরিচালন কমিটির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘আপনাদের কোনও সমস্যা থাকলে আমি আপনাদের সঙ্গে বসে সেগুলো আলোচনা করে সমাধান করবো। আমরা সবসময় আপনাদের পাশে আছি।’’ নান্টু বলেন, ‘‘আমরা গুরুদ্বারের আরও উন্নতি চাই। আমাদের মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী আপনাদের সঙ্গে আছেন। আপনারাও আমাদের এগিয়ে যেতে সাহায্য করুন।’’ সেখান থেকে মন্ত্রী যান চার্চ রোডের সিএনএফ গির্জায়। সেখানে রবিবারের বিশেষ প্রার্থনায় যোগ দেন তিনি।
এরপর প্রার্থী অমর সিংহ রাইকে নিয়ে হাঁসখোয়া থেকে ঘোষপুকুর পর্যন্ত হুডখোলা জিপে র্যালি করেন গৌতম। বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে ব্যবসায়ী, পথচলতি বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন অমর সিংহ রাই। র্যালিতে স্থানীয় তৃণমূল নেতা, কর্মীরাও যোগ দিয়েছিলেন। বিধাননগরেও হয় মিছিল। এ দিনই সেখান থেকে চোপড়ায় যান তাঁরা। সন্ধেয় বাগডোগরায় মিছিল করেন অমর ও গৌতম। স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনাও করেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এ দিন অমর বলেন, ‘‘পাহাড় ও সমতল সব জায়গাতেই মানুষের ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছি।’’ গৌতম বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিভেদের রাজনীতি দূর করে পাহাড় ও সমতলে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কেউ কেউ নতুন করে পাহাড়কে অশান্ত করতে চাইছে। মানুষ তাঁদের এ বার ছুড়ে ফেলবে।’’
রবিবার কালিম্পংয়ের বিভিন্ন এলাকায় অমর সিংহ রাইয়ের হয়ে ভোট প্রচার করেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক অনীত থাপা। কালিম্পং পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে একটি নির্বাচনী কার্যালয়ও উদ্বোধন করেন তিনি। বৈঠক করেন দলের শাখা সংগঠনগুলোর সঙ্গে। পাহাড় তৃণমূলের পক্ষ থেকেও এ দিন কালিম্পং শহরে ভোট প্রচার করা হয়।