প্রতীকী চিত্র।
তৃণমূলের প্রতিদ্বন্দ্বী কি তৃণমূলই! ভোটগণনার আগের রাত পর্যন্ত এ নিয়েই চর্চা চলল তৃণমূল শিবিরে। গোপনে তৃণমূলই কি তৃণমূলকে হারিয়ে দিয়েছে, নাকি সেই অন্তর্ঘাত সামলে অর্পিতা ঘোষ ফের সংসদে যেতে পারবেন? সেই প্রশ্নের চুলচেরা বিশ্লেষণ চলল দিনভর। তাতে ব্যস্ত রইলেন জেলার ছোট-বড় সব নেতাই।
দলীয় সূত্রের খবর, বালুরঘাট কেন্দ্রে শাসক তৃণমূল বিপক্ষ হিসেবে বিজেপিকে নিয়ে ভাবছে না। তাদের আশঙ্কা তৃণমূলের একটা অংশ নিয়েই। আড়ালে নেতাদের একাংশ মানছেন, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে, প্রত্যেক নেতা একে অন্যকে হারাতে উঠে পড়ে লেগেছেন। সেটাই তৃণমূলের মাথাব্যথার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর জেরে দলের কতটা ক্ষতি হতে পারে, ভোটবাক্সেই বা তার কতটা প্রভাব পড়বে, তা নিয়েই তুমুল চর্চা তৃণমূল শিবিরে।
প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে দলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র প্রথমে বিদ্রোহ ঘোষণা করলেও দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে সেই ক্ষতে সাময়িক প্রলেপ দেওয়া হয়। তার পরেই বিপ্লব জেলায় ফিরে প্রত্যেক বিধানসভায় ‘লিড’ দেওয়ার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট বিধায়কদের উপরে ভাগ করে দেন। সেখানেই ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখছেন দলের কর্মীদের একাংশ। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক বর্ষীয়াণ নেতা বলেন, ‘‘দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়ায় গোট দায়ভার আর কারও ঘাড়েই রইল না। এই সুযোগে নিজের নিজের বিধানসভায় লিড দেওয়ার মরিয়া চেষ্টার পাশাপাশি অন্যের বিধানসভায় দলের ভরাডুবি দেখিয়ে দলের কাছে নিজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে উঠে পড়ে লেগেছেন কয়েক জন বিধায়ক ও নেতা। এটাই দলের কাছে এখন দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
দলীয় সূত্রের খবর, কোনও কোনও এলাকায় কারা এই সব অন্তর্ঘাতের চেষ্টা করেছে বুথ লেভেল সংগঠন থেকে সেই তথ্য সংগ্রহ করছে তৃণমূল শিবির। এর ফলে কতটা ক্ষতি হতে পারে সেই হিসেব নিয়েই বুধবার রাত পর্যন্ত ব্যস্ত ছিলেন তৃণমূলের নেতারা। যদিও দলের জেলা সভাপতি বলেন, ‘‘সবাই কাজ করেছে। তার পরেও দলের মধ্যে কেউ যদি গদ্দারি করে থাকে সেটা সময়েই বুঝতে পারব। আমরা সব হিসেব কষে দেখেছি, আমাদের জয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।’’