নিরাপত্তা: মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড়ে যাওয়ার পথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল। —নিজস্ব চিত্র
তৃণমূলের বিকল্প তৃণমূলই। এমনই দাবি দলের। নির্বাচনী ময়দানে কোনও প্রতিপক্ষই নেই বলে দাবি করেছেন খোদ দলের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী। বুধবার জলপাইগুড়ি শহরের ৮, ৯ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী বিজয়চন্দ্র বর্মণকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালালেন সৌরভ। সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মানুষের কাছে তৃণমূলের কোনও বিকল্প এখনও পর্যন্ত তৈরি হয়নি। রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে জলপাইগুড়ি আসনে তৃণমূল প্রার্থী বিজয়চন্দ্র বর্মণ সব চাইতে বেশি ভোটে জয়ী হয়ে রেকর্ড তৈরি করবেন।’’ একই সঙ্গে সৌরভের দাবি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারেও দলের প্রার্থীরা জয়ী হবেন।
এদিন জলপাইগুড়ি শহরের প্রচারে দলের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের শহর ব্লক সভাপতি মোহন বসু।
প্রার্থী বিজয়চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত আমার প্রতিপক্ষে কোন প্রার্থী তা জানি না। ভোট যন্ত্রেই তা ঠিক বোঝা যাবে। জয় সম্পর্কে সম্পূর্ণ নিশ্চিত। উন্নয়নের কাজ তুলে ধরেই আমরা প্রচার করছি। মানুষ উন্নয়নের পক্ষেই রায় দেবেন।’’
মোহন বসু বলেন, ‘‘শুধুমাত্র সাংসদ এলাকা উন্নয়ন তহবিলের অর্থে উন্নয়ন নয়। আমরা একই সঙ্গে প্রচারে তুলে ধরছি পুরসভার উন্নয়নের কথাও। এছাড়াও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জলপাইগুড়িতে একের পর এক উন্নয়নের কাজ করা হয়েছে । সেগুলিও আমরা তুলে ধরছি।’’
জয় সম্পর্কে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হলেও আত্মসন্তুষ্টিতে ভুগতে রাজি নয় দল। আর সেই কারণেই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জোরকদমে প্রচার চলছে বলে দাবি দলীয় নেতৃত্বের। এর মধ্যেই জলপাইগুড়ি পুরসভা এলাকার প্রায় সব ওয়ার্ডেই দু’বার করে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার কাজ শেষ হয়েছে বলে দলীয় সূত্রের খবর। এছাড়াও প্রার্থীকে নিয়ে রোড শো করা হয়েছে বলেও জানান তাঁরা। জলপাইগুড়ি পুরসভার সব ওয়ার্ডেই এ বারে লিড দেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছেন দলের কর্মীরা।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক বাপি গোস্বামী বলেন, ‘‘তৃণমূল সম্পর্কে মানুষের মোহ ভাঙছে। বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলকে পরাস্ত করতে নির্বাচনী প্রচারে আমরাও কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়নের প্রকল্পের বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছি।’’