New Born Missing

খোঁজ মেলেনি শিশুর, তদন্তে ভরসা অভিযুক্ত মহিলার ‘ফুটেজ’

ছবিতে দেখা গিয়েছে, ছাপা শাড়ি পরিহিত মহিলা শিশুকে নিয়ে ওয়ার্ড থেকে বার হওয়ার সময় দরজার কাছে নার্সদের টেবিলের সামনে মূহূর্তের জন্য দাঁড়ায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৩ ০৮:২৪
Share:

খোঁজ মেলেনি অপহৃত শিশুর। প্রতীকী চিত্র।

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড থেকে শিশু কোলে নিয়ে অভিযুক্ত মহিলাকে বেরোতে দেখার একটি ছবি বা ‘ফুটেজ’ পেয়েছে পুলিশ। তবে তাতে মহিলার মুখ স্পষ্ট নয়। প্রসূতি ওয়ার্ডের মধ্যে থাকা ‘ক্লোজ়ড-সার্কিট’ (সিসি) ক্যামেরায় সেই ছবি মিলেছে। শুক্রবার সকালে পাওয়া সিসি ক্যামেরার ওই ‘ফুটেজ’ই মহিলাকে ধরা এবং শিশুটিকে উদ্ধারের ক্ষেত্রে ভরসার সূত্র হয়ে উঠেছে। কারণ, বৃহস্পতিবার পুলিশ টোটোয় এক মহিলার বাচ্চা নিয়ে ওঠার যে ‘ফুটেজ’ পেয়েছিল, তার ভিত্তিতে মহিলাকে খুঁজতে হলদিবাড়িতে সন্ধান চালায়। তবে তাতে কাজ হয়নি। তিনি অভিযুক্ত মহিলা নন। তিনি ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন। এ দিকে, ঘটনার পরে, গোটা দিন পেরিয়ে গেলেও চুরি যাওয়া শিশু উদ্ধার না হওয়ায় নানা স্তরে ক্ষোভ বাড়ছে।

Advertisement

এ দিনের পাওয়া ছবিতে দেখা গিয়েছে, ছাপা শাড়ি পরিহিত মহিলা শিশুকে নিয়ে ওয়ার্ড থেকে বার হওয়ার সময় দরজার কাছে নার্সদের টেবিলের সামনে মূহূর্তের জন্য দাঁড়ায়। তার পরে, বেরিয়ে যায়। তবে এর পরে মহিলা কোন দিকে যায়, বোঝা যায়নি। করিডরের সিসি ক্যামেরার তার কাটা থাকায় পুলিশ বিপাকে পড়েছে।

শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার রাজেন ছেত্রীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল প্রসূতি বিভাগ, লাগোয়া কাওয়াখালি এলাকায় যাতায়াতের রাস্তা ঘুরে দেখে, সিসি টিভির ‘ফুটেজ’ পরীক্ষা করেন। শিশুর মা রঞ্জিতা সিংহ এ দিনও উৎকণ্ঠায় কান্নাকাটি করেছেন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব এ দিন বলেন, ‘‘পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। ওঁরা খতিয়ে দেখছেন। হাসপাতালের তরফেও কমিটি করে তদন্ত চলছে।’’

Advertisement

অন্য দিকে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রোগীর বাড়ির লোকদের নিয়ে, এ দিনও বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। সুপারের অফিসের বাইরে বিক্ষোভকারীদের আটকে দিলে, তাঁদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের। গেটের ধারের রেলিং ভেঙে যায়। অবস্থান-বিক্ষোভে ছিলেন মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মণ এবং ফাসিদেওয়া-খড়িবাড়ির বিধায়ক দুর্গা মুর্মু। কেন হাসপাতালে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা কর্মী নেই, কেন ‘ক্লোজ়ড-সার্কিট’ ক্যামেরা অকেজো হয়ে গেলে, সারানো হয় না বা সেগুলোর দেখভাল করা হয় না, সে সব প্রশ্ন তোলা হয়। মাটিগাড়ার বিধায়ক উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের রোগীকল্যাণ সমিতির সদস্যও। ঘটনার পরে, কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাঁরা তা জানতে চান। হাসপাতাল সুপার বলেন, ‘‘কিছু সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পেয়েছি। পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি ও সংস্থাকে ‘শো-কজ়’ করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।’’

দলীয় কর্মসূচিতে উত্তরবঙ্গে আসা বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের টিপ্পনী, ‘‘শুনলাম, শিলিগুড়ি মেডিক্যাল থেকে বাচ্চা চুরি হয়েছে। টাকা, চাকরি চুরি হচ্ছিল। এখন বাচ্চাও চুরি হচ্ছে! প্রশাসন বলে কিছু নেই!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন